অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান চৌধুরীকে (চট্টগ্রাম-১৩) আনোয়ারা-কর্ণফুলী সংসদীয় আসনের জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) আনোয়ারা-কর্ণফুলীর সর্বস্তরের দায়িত্বশীল সম্মেলন ও চট্টগ্রাম-১৩ আসনের প্রার্থী পরিচিতি অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরী। আনোয়ারা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি আবুল হাসান খোকার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন দক্ষিণ জেলা কর্মপরিষদের সদস্য ইসমাইল হক্কানি, আনোয়ারা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর মাস্টার মনসুর আলী, দক্ষিণ জেলার সহকারী সেক্রাটারি এড আবু নাছের, আনোয়ারা উপজেলার জামায়াতে ইসলামীর আমির বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার এমএ গণি, কর্ণফুলীর আমির মনিরুল আবছার চৌধুরী, ইসলামি ছাত্র শিবির চট্টগ্রাম পশ্চিমের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম, কর্ণফুলীর সেকেটারি নুরুদ্দিন জাহাঙ্গীর, কর্ণফুলী বাইতুল মাল এড মো. হারুন, জুইদন্ডি আমির সায়্যেদ আতিক জামালী, হাইলধর বশিরুজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক বখতিয়ার মাহমুদ প্রমুখ।
জামায়াত ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য অধ্যাপক আহসান উল্লাহ বলেন, জনগণ জামায়াতে ইসলামীকে ভোট দিতে চায়। তাই জনগণের আশা পূরণে ৩০০ আসনে নমিনি ঘোষণা করা হয়েছে। যা আর কেনো দল পারবে না। কারণ অন্যান্য দলে প্রার্থী ঘেষনার পর থেকে মারামারি, খুনাখুনি শুরু করে দিবে কারণ এটাই অন্যান্য দলের চরিত্র।
আওয়ামী লীগ সরকারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নিরস্ত্র জনতা তাদের দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করেছে কিন্তু হাসিনা সরকার তাদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে। এমন ঘটনা ইতিহাসে বিরল। তাই এই খুনি হাসিনাকে দেশে এনে বিচার মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য জাফর সাদেক বলেন, বাংলাদেশের জনগণ জামায়েত ইসলামীর দিকে তাকিয়ে আছে। কারণ সবার শাসন দেখা শেষ, তারা কেউ জনগনকে মুক্তি দিতে পারেনি। জনগণ এখন ইসলামের বাংলাদেশ চাই কারণ একমাত্র ইসলামের পক্ষেই চাদাবাজি, সন্ত্রাস, দখলবাজি, টেন্ডারবাজি মুক্তি বাংলাদেশ উপহার দেওয়া সম্ভব।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম-১৩ আসনের প্রার্থী অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান চৌধুরী বলেন, জামায়াতে ইসলাম প্রতিষ্ঠার পর থেকে মানবতার মুক্তির জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। গত ১৭ বছর ধরে কিশোর যুবকেরা ভুলে গেছে ভোট কাকে বলে। ছাত্রদের রক্তের উপরে যে পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে সে পরিবেশ রক্ষ করতে বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামীর আমীর ডাক্তার শফিকুর রহমান জামায়াতে ইসলামীকে জনগণের সম্পদ, জনগণের দল হিসেবে প্রতিটি এলাকায় পৌঁছে দিয়েছে।
পূর্বকোণ/ইব