কক্সবাজারের মহেশখালীতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী তীর্থস্থান আদিনাথ মন্দিরের শিব চতুর্দশী পূজা ও মেলা রাত পোহালেই বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে। ৭ দিনব্যাপী এ মেলা ও শিবমন্দির দেখার জন্য ভারত, নেপাল, শ্রীলংকা, মিয়ানমারসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার তীর্থযাত্রীর সমাগম হবে বলে মেলার আয়োজকেরা আশা করছেন।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ হেদায়েত উল্যাহ্ জানান, ‘মেলায় যেকোনো ধরনের সংঘাত এড়ানোর লক্ষ্যে প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে রাখবে মেলা প্রাঙ্গণ। আয়োজকরা জানান, মেলা চলাকালে আদিনাথ মন্দিরে শিব দর্শন করার জন্য দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক তীর্থযাত্রী আসেন মহেশখালীতে। মেলায় ইতিমধ্যে দোকানপাট বসেছে। এসব দোকানপাটে নানা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছে বিক্রেতারা।
মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কাইছার হামিদ জানান, মেলায় সুষ্ঠু আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আয়োজকরা আশা করছেন, মহেশখালীর ঐতিহাসিক শিব চতুর্দশী পূজা ও আদিনাথ মেলা উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও মৈনাক পাহাড়ের পাদদেশে বসবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মিলন মেলা। পূজারি আর পর্যটকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠবে আদিনাথের মৈনাক পাহাড়ের চূড়া। হিন্দু সম্প্রদায় ছাড়াও এ মিলনমেলায় সামিল হবেন দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নর-নারী।
এদিকে পূজা ও মেলাকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সাংগঠনিক কমিটি ছাড়াও অভ্যার্থনা, পূজা, প্রচার, স্বেচ্ছাসেবক ও শৃঙ্খলাসহ একাধিক উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। মেলার আয়োজকেরা জানান, আদিনাথ মন্দিরে শিব দর্শন করার জন্য এবার তীর্থযাত্রীরা সরাসরি গাড়িযোগে চকরিয়া বদরখালী হয়ে মহেশখালীর আদিনাথে আসতে পারবেন। এছাড়াও সমুদ্রপথে কক্সবাজার থেকে মহেশখালী আদিনাথ জেটিসহ দুই জেটি হয়ে তীর্থযাত্রীরা মেলায় আসতে পারবেন।
পূর্বকোণ/সজীব/আরআর/পারভেজ