কক্সবাজারের পেকুয়া থেকে অপহৃত হওয়া এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে গিয়ে অপহরণকারী দলের কাছ থেকে আরও দুইজনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টার দিকে পটিয়া উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের নয়াহাট গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার অপহরণকারী দলের সদস্য মোহাম্মদ ইলিয়াছ (২৩) পটিয়া উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব বাকখাইন এলাকার মো. আলীর ছেলে।
উদ্ধার হওয়া অপহৃতরা হলেন, পেকুয়া উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বুধামাঝিরঘোনা এলাকার মৃত আবু তাহেরের ছেলে আবদুল্লাহ আল নোমান (২৪), একই এলাকার রহিম উদ্দিন ছেলে মো. রাইমন (২৪) ও রামু উপজেলার রশিদনগদর ইউপির বড় ধলিরছড়া এলাকার ছিদ্দিক আহমদের ছেলে মনজুর আলম (২৪)।
পেকুয়া থানার এসআই রুহুল আমিন ও তার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের নয়াহাট গ্রামে অভিযান চালিয়ে অপহরণ হওয়া তিন ব্যক্তিকে উদ্ধার করে এবং অপহরণকারী দলের একজনকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি পেকুয়া থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে আবদুল্লাহ আল নোমান অপহরণের শিকার হয়। তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তার ভাই গতকাল ২৪ ফেব্রুয়ারি মো. রফিক একটা নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এরপর অপহৃত নোমানের মোবাইল থেকে তার ভাইয়ের মোবাইলে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এরপর থেকে কৌশলে পুলিশ অপহৃত নোমানকে উদ্ধার করতে অভিযানে নামেন। এক পর্যায়ে ভিকটিমের মোবাইল লোকেশন শনাক্ত করে পটিয়া উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নের নয়াহাটে অভিযান চালিয়ে নোমানকে উদ্ধার করা হয়। এসময় আরও দুইজন অপহৃত ব্যক্তি ও অপহরণের ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল মোস্তফা বলেন, পেকুয়া থেকে একজন নিখোঁজ ব্যক্তির অভিযোগ পেয়ে তাকে উদ্ধারে পুলিশ চেষ্টা চালায়। নিখোঁজের ভাইয়ের মোবাইলে মুক্তিপণ চাওয়ায় বিষয়টি অপহরণ হিসেবে পুলিশের সন্দেহ হয় এবং উদ্ধার করতে আরও জোর তৎপরতা চালায়। এক পর্যায়ে মোবাইল লোকেশন শনাক্ত করে কাশিয়াইশ ইউপির নয়াহাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহরণকারী মো. ইলিয়াছকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় অপহৃত তিনজনকেও উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার ইলিয়াছকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন দাখিল করা হয়েছে।
পূর্বকোণ/পিআর