চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে দাঁড়িয়ে থাকা ডাম্প ট্রাকের পেছনে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় একই পরিবারের দুইজন নিহত হয়েছেন। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুইজন।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফৌজদারহাট বাংলাবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- নারায়ণগঞ্জের সৈয়দপুর এলাকার হাজী কালামিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন (৬২) এবং আনোয়ার হোসেনের শ্যালিকা ঢাকা বংশাল থানার নাজিরা বাজার এলাকার মো. ইমতিয়াজ হোসেনের স্ত্রী বিবি রহিমা হোসেন (৬০)। আহতরা হলেন- একই পরিবারের কাজী রিয়াদ (৩৪) ও মাইক্রোবাস চালক (নাম জানা যায় নি)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে কক্সবাজারগামী মাইক্রোবাস সকাল ৬টায় দ্রুতগতিতে ফৌজদারহাট বাংলাবাজার অতিক্রম করার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ড্রাম ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে উল্টে গেলে ঘটনাস্থলেই গাড়িতে থাকা বৃদ্ধ আনোয়ার হোসেন মারা যান। ঘটনার খবর পেয়ে কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত আরও তিনজনকে চমেক হাসপাতালে পাঠালে সেখানে বিবি রহিমাও মারা যান। এছাড়া চালকসহ দুইজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন ইনচার্জ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে একজনকে নিহত ও তিনজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। পরে হাসপাতালে আরও একজন মারা যান। গাড়িতে আত্মীয়-স্বজনসহ ৮ জন ছিলেন। অন্যরা সামান্য ব্যথা পেয়েছে। তারা আমাদের জানিয়েছেন চালক ঘুম চোখে গাড়ি চালাতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহত আনোয়ার হোসেনের ছেলে তালহা বলেন, দুর্ঘটনায় আমার বাবা ও খালা মারা গেছেন। কক্সবাজার ভ্রমণের আনন্দ মুহূর্তে বিষাদে রূপ নিয়েছে। ঘটনার আকস্মিকতায় গাড়িতে থাকা অন্য যাত্রীরাও হতভম্ব। সাথে থাকা দুইস্বজন মুহূর্তে হারিয়ে গেছে এটি তারা মানতে পারছেন না।
বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মো. আব্দুল মুমিন বলেন, মাইক্রোবাসটি দাঁড়িয়ে থাকা ড্রাম ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেওয়ায় ঘটনাস্থলেই এক বৃদ্ধ এবং হাসপাতালে অপর এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। লাশের সুরতহাল তৈরি শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ