ফটিকছড়ি উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়ন বড় বেতুয়া এলাকায় মুহাম্মদ শহিদ (৪৫) নামের এক ব্যক্তি দুর্বৃত্তদের হামলায় ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান। এ ঘটনায় চন্দ্রবানু (৫৫) নামের এক মহিলা গুরুতর আহত হন।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মাগরিবের পর উক্ত এলাকার ৪নং ওয়ার্ড়ের সেলিমের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শহিদ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের মুহাম্মদ মফিজের ছেলে। পেশায় লোহা-সিমেন্টের দোকানের একজন শ্রমিক। স্ত্রী নিয়ে বড় বেতুয়া এলাকায় আমান উল্লার বাড়িতে বসবাস করতেন। দাঁতমারা ফাঁড়ির ইনচার্জ মুহাম্মদ শামসুদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জানাগেছে, নিহত শহিদ শ্রমিকের কাজের পাশাপাশি স্থানীয় এক ব্যক্তির অধীনে ইট, বালি আনা-নেওয়ার কাজ করতেন। এই নিয়ে স্থানীয় একটি গ্রুপের সাথে নানা কারণে তাদের বিরোধ চলছিল। বিরুদের জেরে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন বলে জানা যায়।
মাগরিবের নামাজে পর চা দোকান হতে বাড়ি ফেরার পথে ১০/১৫ জনের দুর্বৃত্তরা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে শহিদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে চিৎকার শোরগোলে স্থানীয় বাসিন্দা চন্দ্রবানু দৌড়ে এসে শহিদকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন। এতে তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন।
পরে, চারদিক হতে মানুষ ছুটে আসলে অপরাধীরা পালায়। এদিকে রাস্তার উপর পড়ে থাকা শহিদের নিতর দেহ উদ্ধার করে নাজিরহাটস্থ ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন এবং চন্দ্রবানুকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে রেফার করেন।
জানতে চাইলে দাঁতমারা ফাঁড়ির ইনচার্জ মুহাম্মদ শামসুদ্দিন জানান, এলাকার দুই গ্রুপের ঝামেলা থেকে ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিক সূত্রে আমরা জানতে পারি। দুর্বৃত্তদের হামলায় ওই যুবক নিহত হয়েছেন। লাশ মর্গে প্রেরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
পূর্বকোণ/মুন্না/পারভেজ