দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কাউখালী উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইসমাইল তালুকদার ও বেতবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মো. কোরবান আলীর পদ স্থগিত করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দিপু ও সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মামুনুর রশীদ মামুন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাদের দলীয় সব পদ স্থগিত করা হয়। বিষয়টি তাদের চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়।
মো. ইসমাইল তালুকদার উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। অন্যদিকে মো. কোরবান আলী বেতবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন।
অভিযুক্ত দুজন কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়ের মো. আবুল খায়ের তালুকদারের ছেলে।
জেলা বিএনপি ও উপজেলা বিএনপির তথ্যমতে গত ১৪ অক্টোবর চট্টগ্রাম হতে প্রকাশিত একটি পত্রিকায় ‘কাউখালী বিএনপি নেতাদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ মানুষ’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সেই সংবাদের ভিত্তিতে রাঙামাটি জেলা বিএনপি গত ১৮অক্টোবর প্রকাশিত সংবাদের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য একটি ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। গঠিত কমিটি সরজমিনে ঘটনার সত্যতা যাচাই বাছাই করে গত ২৪ নভেম্বর তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করলে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হওয়াতে তাদের পদ স্থগিত করা হয়েছে।
তদন্ত রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, দলের সকল নির্দেশনা অমান্য করে দলীয় গঠনতন্ত্র ও শৃংখলা বিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে দলীয় সুনাম ও দলীয় শৃংখলা নষ্ট করায় দলীয় সকল পদ পদবী আগামী ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত ১ মাসের জন্য স্থগিত করা হইল। পরবর্তীতে স্থানীয় উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দের মতামতের ভিত্তিতে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সাংগঠনিক ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পদ স্থগিতাদেশ বিষয়ে জানতে মো. ইসমাইল তালুকদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিটিংয়ে আছেন বলে জানান এবং পদ স্থগিতাদেশ বিষয়ে অবগত নয় বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে বেতবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি মো. কোরবান আলীকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।
কাউখালী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. তারামিয়া বিষয়টি এখনো শুনেননি বলে জানান এবং জেলা বিএনপির সাথে কথা বলে জানাবেন বলে প্রতিবেদককে জানান।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ