মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে কেউ যেন কোনো গরু দেশে প্রবেশ করাতে না পারে সে বিষয়ে কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে।
রবিবার (২ জুন) রাজধানীর শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি সায়েন্স বিভাগ থেকে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ঈদ সামনে রেখে আমাদের খামারিদের নিরুৎসাহিত করতে চোরাইপথে কিছু কিছু গরু আনা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এ ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হবে। সুতরাং দেশীয় খামারিদের এ ব্যাপারে ভাবনার কারণ নেই।
ঈদ যাতে উৎসবের সঙ্গে ও সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পারে সে ব্যাপারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সার্বিকভাবে তত্ত্বাবধানে থাকবে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অস্ট্রেলিয়া থেকে ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় আনার মাধ্যমে দুধের উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু শুধু একটা স্বাধীন দেশই দিয়ে যাননি। বরং স্বাধীন দেশকে কীভাবে খাবারে, পুষ্টিতে, ভাতে, মাছে উন্নত দেশে পরিণত করা যায় সে ভাবনাটিও তিনি সঙ্গে সঙ্গে করেছেন।
তিনি বলেন, দুধের উৎপাদন বাড়ালে দুধ খাওয়া বাড়বে এমনটি নয়, বরং দুধ খাওয়ার প্রবণতা বাড়লেই দুধের উৎপাদন বাড়বে। কারণ চাহিদা বাড়লেই সরবরাহ বাড়ানোর বিষয়টি সামনে আসে। দুধের উৎপাদন বাড়িয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে বলে জানান মন্ত্রী।
গ্রামের প্রান্তিক খামারিরা মূল্যের অভাবে অনেক সময় দুধ উৎপাদনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দুধের দাম কম হলেও দুধ থেকে উৎপন্ন মিষ্টির দাম অনেক বেশি। দুগ্ধ শিল্পের সঙ্গে যারা জড়িত তারা অনেক সময় ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না বলে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ পাওয়া যায়। খামারিরা যাতে তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায় সে রকম একটা ব্যবস্থা আমাদের তৈরি করতে হবে।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ