চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪

বার্নিকাটের গাড়ি বহরে হামলা: ছাত্রলীগ নেতাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

অনলাইন ডেস্ক

১ অক্টোবর, ২০২৩ | ৪:২৬ অপরাহ্ণ

সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার ঘটনার পাঁচ বছর পর ৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এতে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের শ্যালক মোহাম্মদ ইশতিয়াক মাহমুদ ও মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুল হাসান ওরফে রাসেলকে আসামি করা হয়েছে। বাকি আসামিদের অনেকেই আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, এ আসামিদের অপরাধের সত্যতা প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

২০১৮ সালের ৪ আগস্ট রাতে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের মোহাম্মদপুরের বাসায় নৈশভোজে অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। নৈশভোজ শেষে তিনি গাড়িতে ওঠার সময় হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় করা মামলায় ২০২১ সালের মার্চে ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছিলেন আদালত। তবে পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রপক্ষ অধিকতর তদন্তের আবেদন করে।

আবেদনে বলা হয়, অভিযোগকারীসহ পাঁচজন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন আসামি হিসেবে বাদী বদিউল আলম মজুমদারের শ্যালক ইশতিয়াক মাহমুদের নাম উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা তার নাম উল্লেখ করেননি। তাই প্রকৃত অপরাধীকে চিহ্নিত করতে অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন।

মোহাম্মদ ইশতিয়াক মাহমুদ ও নাইমুল হাসান ছাড়া অভিযোগপত্রে ফিরোজ মাহমুদ, মীর আমজাদ হোসেন, সাজু ইসলাম, রাজীবুল ইসলাম, শহিদুল আলম খান, সিয়াম ও অলি আহমেদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ইশতিয়াক মাহমুদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে। অন্য আসামিরা জামিনে রয়েছেন।

আসামিদের মধ্যে নাইমুল হাসান ঘটনার সময় মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি। তিনি বলেন, ‘আমরা সে সময় ঘটনাস্থলের সামনে আড্ডা দিচ্ছিলাম। চিৎকার শুনে গিয়েছিলাম। সেই যাওয়াটাই আমাদের ভুল হয়েছিল।’

আরেক আসামি মীর আমজাদ হোসেন ঘটনার বছর মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। শহীদুল আলম খান ছিলেন শেরেবাংলা নগর থানা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক।

২০২১ সালে দেওয়া অভিযোগপত্রে মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মোজাহিদ আজমির নাম ছিল। তিনি ওই বছর (২০২১) মারা যান। আজমি ও নাম-ঠিকানা না পাওয়া অজ্ঞাতনামাদের অব্যাহতির অনুরোধ করা হয়েছে।

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট