সরকার পতনের এক দফা দাবিতে দুদিনের মধ্যে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (১১ আগস্ট) রাজধানীতে গণমিছিল শেষে এ কথা জানান তিনি।
এর আগে রাজধানীর বাড্ডার সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির গণমিছিলপূর্ব সমাবেশে ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবির যে আওয়াজ উঠেছে তা গণভবন পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা নতুন যুদ্ধে নতুন লড়াই শুরু করেছি। মিছিলের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে চাই তোমাদের দিন শেষ। মানে মানে পদত্যাগ করো।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ আমাদের স্বাধীনতার সব অর্জনকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের গণতন্ত্র, অর্থনীতি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ধ্বংস করেছে দেশের বিচারব্যবস্থা। বিচারালয়ের ওপর ভর করে মিথ্যা ও গায়েবি মামলায় আমাদের নেতাকর্মীদের সাজা দিচ্ছে। তিনি বলেন, তাতে কি আন্দোলন বন্ধ করা যাবে? যতই নির্যাতন করো, কারাগারে ঢোকাও, আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের অধিকার ফিরিয়ে এনে ঘরে ফিরব।
বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংসদ ভেঙে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে তাদের অধীনে নির্বাচন হবে।
নির্বাচন কমিশন দুটি নতুন দলকে নিবন্ধন দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কেউ এই দুই দলকে চেনে না। এদের দিয়ে সরকার নির্বাচন-নির্বাচন খেলা খেলতে চায়। এবার এ খেলা খেলতে দেওয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
ফখরুল বলেন, এবারের লড়াই হচ্ছে জীবন-মরণ লড়াই। কোনো ভয় দিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।
ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মো. আমিনুল হকের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীরউত্তম, শামসুজ্জামান দুদু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রকৌশলী নেতা রিয়াজুল ইসলাম রিজু, প্রকৌশলী মো. মোস্তাফা-ই জামান সেলিম প্রমুখ।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ