রসালো ফল আনারস। সাধারণত বর্ষায় সবচেয়ে বেশি ফলন হয় ফলটির। তবে সারাবছরই পাওয়া যায় কম বেশি। বদহজমে দারুণ কার্যকর আনারস। ফলটিতে থাকা ব্রোমেলিনএনজাইম হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। তাই বদহজম বা হজমজনিত যে কোনো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আনারস খাওয়া যেতে পারে।

টক-মিষ্টি স্বাদের এই ফলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ ও ‘সি’, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে। এসব অপরিহার্য উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আনারসে থাকা ক্যালসিয়াম কাজ করে দাঁতের সুরক্ষায়। নিয়মিত আনারস খেলে দাঁতে জীবাণুর সংক্রমণ কম হয় ফলে দাঁত ঠিক থাকে।

এছাড়া মাড়ির যে কোনো সমস্যা সমাধান করতে আনারস বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে। আবার প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’ থাকে আনারসে। যা ভাইরাসজনিত ঠান্ডা ও কাশি প্রতিরোধে ভ‚মিকা রাখে। তাছাড়া জ্বর ও জন্ডিস প্রতিরোধে আনারস বেশ উপকারী। এছাড়া নাক দিয়ে পানি পড়া, গলাব্যথা এবং ব্রংকাইটিসের বিকল্প ওষুধ হিসেবে আনারসের রস খেতে পারেন। চোখের যত্নেও দারুণ কার্যকর আনারস। চোখের রেটিনা নষ্ট হয়ে ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাওয়া রোগ ‘ম্যাকুলার ডিগ্রেডেশন’ থেকে রক্ষা করে আনারস।

আরও পড়ুন: কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখবে যেসব পানীয়

আনারসে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারস খেলে এ রোগের সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ কমে যায়। এর বাইরে কৃমি নাশক হিসেবে কাজ করে আনারস। ভ‚মিকা রাখে তকের যত্নে। আনারসের ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া এতে থাকা ম্যাঙ্গানিজ হাড়কে করে তোলে মজবুত। তাই খাবার তালিকায় পরিমিত পরিমাণ আনারস রাখলে হাড়ের সমস্যাজনিত যে কোনো রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

অবশ্য কিছু অপকারিতাও রয়েছে আনারসের। অ্যালার্জির সমস্যা বাড়িয়ে দেয় ফলটি। আবার আনারসে থাকা প্রাকৃতিক চিনি ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। আবার অ্যাসিডিক হওয়ায় খালি পেটে খাওয়া আনারস অনেকের পেট ব্যথার কারণ হতে পারে।

পূর্বকোণ/ইবনুর