ম্যালেরিয়া প্রবণ এলাকা হিসেবে দেশের ১৩টি জেলা চিহ্নিত। বছরে যত আক্রান্ত হয় এ রোগে, তার ৯০ ভাগের বেশি চট্টগ্রামের পাঁচ জেলা। তারমধ্যে ম্যালেরিয়ার জন্য উচ্চপ্রবণ এলাকা তিন পার্বত্য জেলা। বছর খানেক আগেও বৃহত্তর চট্টগ্রামের এ পাঁচ জেলায় প্রায় ১৫ হাজার ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়। তবে এ বছর সুখবর দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আশার খবর হলো- এক বছরের ব্যবধানে ১০ শতাংশ রোগী কমেছে আলোচ্য জেলাগুলোতে। মৃত্যুর সংখ্যাও তুলনামূলকভাবে কম।
তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি- এ পাঁচ জেলায় ম্যালেরিয়া রোগী শনাক্ত হয় ১৪ হাজার ৭৮৩ জন। যারমধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগী ছিল বান্দরবানে। জেলাটিতে ৮ হাজার ৫৩৮ জন রোগী পাওয়া যায়। তবে পরবর্তী বছরে ২০২৪ সালে আলোচ্য পাঁচ জেলায় ম্যালেরিয়া রোগী পাওয়া যায় ১৩ হাজার ৪৩৭ জন। অর্থাৎ ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে রোগী কমেছে ১০ শতাংশের বেশি। বান্দরবান জেলাতেও প্রায় চার শতাংশ রোগী কম শনাক্ত হয় এ বছর।
স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা বলেন, প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রামে স্বাস্থ্যকর্মী পাঠানো, দ্রুত ম্যালেরিয়া শনাক্তে সক্ষম কিটের বিস্তার, কীটনাশকযুক্ত মশারি সহজলভ্য করার ফলেই পার্বত্য চট্টগ্রামে ম্যালেরিয়ার প্রবণতা কমেছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তরের বিভাগীয় কীটতত্ত¡বিদ মো. মফিজুল হক শাহ বলেন, দেশের সবচেয়ে বেশি ম্যালেরিয়া রোগী রয়েছে তিন পাবর্ত্যজেলায়। বিভাগের ৯০ শতাংশ রোগীর মধ্যে ৮০ শতাংশই হচ্ছে তিন পার্বত্যজেলায়। তবে গত বছর রোগীর সংখ্যা কমেছে। এটি আমাদের জন্য সুখবর।
বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস আজ: আজ ২৫ এপ্রিল শুক্রবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘আমরাই করবো ম্যালেরিয়া নির্মূল : নব উদ্যমে, নব বিনিয়োগে ও নব চিন্তায়’।
দিবসটি উপলক্ষে সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও সচেতনতামূলক র্যালি, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচি পালন করা হবে। তবে শুক্রবার বন্ধের দিন হওয়ায় গতকাল (বৃহস্পতিবার) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আলোচনা সভা ও র্যালির মাধ্যমে উদযাপিত হয় দিবসটি।
পূর্বকোণ/ইবনুর