স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ আজকাল চিনির ব্যাপারে বাড়তি সচেতন হয়েছেন। পুষ্টিবিদরা বলছেন, অতিরিক্ত চিনি শুধু রান্নায় দেওয়া চিনি বা মিষ্টি থেকে আসে না। এমন অনেক খাবার, রান্নার উপকরণ আছে যেগুলো অজান্তেই রক্তে শর্করার মাত্রায় প্রভাব ফেলতে পারে। যেমন-
কেচাপ, সস: রান্নায় ব্যবহৃত বিভিন্ন রকম সস বা কেচাপের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণ চিনি থাকে। বারবিকিউ সস, পাস্তা সস বা টম্যাটো কেচাপে প্রায় ৪ থেকে ১০ গ্রাম চিনি থাকে।
গ্র্যানোলা বার: অনেকেই বিকেল বা সন্ধ্যার নাশতায় স্বাস্থ্যকর ‘প্রোটিন বার’ বা ‘গ্র্যানোলা বার’ খান। শরীরচর্চা করার পরও পুষ্টিকর খাবার হিসেবে এই ‘বার’ খান কেউ কেউ। স্বাদ বাড়াতে এই ধরনের বারগুলিতে যথেষ্ট পরিমাণ চিনি ব্যবহার করা হয়।
প্যাকেটজাত ফলের রস: বেশির ভাগ প্যাকেটজাত ফলের রসে কৃত্রিম শর্করা মেশানো থাকে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, এক কাপ ফলের রসে শর্করার পরিমাণ প্রায় ২৪ গ্রাম। যা ছয় চা চামচ চিনির সমান।
ইয়োগার্ট: অনেকেই সাধারণ দইয়ের বদলে নানা রকম ফলের কৃত্রিম স্বাদ, বর্ণ এবং গন্ধযুক্ত ইয়োগার্ট খান। পুষ্টিবিদদের মতে, এক কাপ ইয়োগার্টে চিনির পরিমাণ প্রায় দু’স্কুপ চকোলেট আইসক্রিমের সমান।
আইসড টি: অনেকে গরমে শান্তি পেতে ‘আইসড টি’ খান। অনেকেরই হয়তো জানা নেই, এক কাপ ‘ফ্লেভার্ড আইসড টি’-তে কয়েক চামচ পর্যন্ত চিনি থাকে।
পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ