চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা

শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে ফের শ্রমিকের মৃত্যু সীতাকু-ে

নিজস্ব সংবাদদাতা , সীতাকু-

২০ মে, ২০১৯ | ২:৩৬ পূর্বাহ্ণ

সীতাকু-ে একটি শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে কাজ করার সময় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। গতকাল রবিবার ভোর রাতে উপজেলার ভাটিয়ারী স্টিল শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম মো. মানিক (৩৫)। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানার রায়পুর গ্রামের আরজান আলীর ছেলে। পুলিশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত আনুমানিক ৩টার দিকে উপজেলার ভাটিয়ারীতে অবস্থিত মো. নঈম উদ্দিনের মালিকানাধীন ভাটিয়ারী স্টিল শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করার সময় ঐ ইয়ার্ডের ওয়েল্ডিং হেল্পার মো. মানিক বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে গুরুতর আহত হন। নিহতের বড় ভাই এ বিষয়টি থানায় জানালে সীতাকু- থানার এস.আই এস এম জুলফিকার হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত শ্রমিককে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে জাহাজ ভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের আহবায়ক তপন দত্ত বলেন, রাত ৮টার পর শিপইয়ার্ডে কাজ করা নিষিদ্ধ করেছে হাইকোর্ট। কিন্তু মালিকদের

অনেকেই সেসব নিষেধাজ্ঞা মানেন না। রাতে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে। কিন্তু কেন এসব দুর্ঘটনা হলো কেউ জবাব চান না। এ ক্ষেত্রে মালিক শ্রমিক উভয় পক্ষেরই দোষ আছে। কিন্তু শ্রমিকরা ন্যায্য বেতন না পাওয়ায় পেটের দায়ে কাজ করতে বাধ্য হন। আর কোন কোন মালিক সে সুযোগ নেন। তিনি বলেন, শিপইয়ার্ডে শ্রমিক নিহত, হতাহত হওয়ায় আমরা রবিবার দুপুর ২টা থেকে ৩টা চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছি।
এদিকে ভাটিয়ারী স্টিলে দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী সীতাকু- থানার এস.আই এস.এম জুলফিকার হোসেন বলেন, শ্রমিকটি রাত ৩টার সময় সেখানে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করার সময় বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হন। তার বড় ভাই এ খবর থানায় দিলে আমি গিয়ে তাকে চট্টগ্রামের মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যাই। রবিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। লাশ পোস্ট মর্টেমের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট