বিশ্ব ফ্যাটি লিভার দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশে ‘জুলাই স্মৃতি উদ্যান’ প্রাঙ্গণে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি ওয়াকাথনের আয়োজন করে লিভার কেয়ার সোসাইটি। এতে সংগঠনের সদস্য ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রভাতী সংঘ ও উই ব্রাদার্সের প্রায় দুইশ সদস্য অংশ নেন।
ওয়াকাথন শেষে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে লিভার কেয়ার সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের হেপাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, ফ্যাটি লিভার বর্তমান বিশ্বের এক নীরব মহামারী। বিশ্বের শতকরা প্রায় ২৫-৩০ ভাগ মানুষ অর্থাৎ প্রতি ৪ জনে ১ জন ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন। বর্তমানে প্রায় ১২ কোটি মানুষ ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন এবং ২০৩০ সাল নাগাদ এই সংখ্যাটা হবে প্রায় ৩৬ কোটি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে আক্রান্ত সর্বোচ্চ ৩৪%, অর্থাৎ প্রতি তিনজনে একজন। তিনি বর্তমান বিশ্বে লিভার সিরোসিস এবং লিভার ক্যান্সারের প্রধান কারণ হিসেবে ফ্যাটি লিভারকে দায়ী করেন। ফ্যটি লিভার চিকিৎসায় সুনির্দিষ্ট ওষুধ আবিষ্কৃত না হওয়ায়, শুধুমাত্র ত্রুটিপূর্ণ খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনধারা বা লাইফস্টাইল পরিবর্তনের মাধ্যমে এই রোগ থেকে মুক্ত থাকতে হবে। তিনি ফ্যটি লিভার প্রতিরোধে অতিরিক্ত শর্করা জাতীয় খাবার (ভাত/রুটি), চিনি যুক্ত খাবার ও পানীয় পরিহার, ওজন ও স্থূলতাকে নিয়ন্ত্রণ করা, প্রচুর পরিমাণে আঁশযুক্ত শাকসবজি ও তাজা ফলমূল খাওয়া এবং প্রতিদিন শরীর চর্চার অভ্যাস গড়ে তোলার পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন লিভার কেয়ার সোসাইটির আজীবন সদস্য ডিআইজি মোহাম্মদ মুসলিম ও মিসেস আমেনা বেগম, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন উই ব্রাদার্সের সভাপতি এনায়েত করিম, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ইউনূস।
পূর্বকোণ/পিআর