চট্টগ্রামে আনোয়ারার বরুমচড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন চৌধুরী ও সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ছোটবোনসহ উভয়পক্ষের ১১ জন সমর্থক আহত হয়েছে। এরমধ্যে গুরুতর আহত দুইজনকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা একটায় উপজেলার পশ্চিম বরুমছড়া শাহজীপাড়া জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। পরে আনোয়ারা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

হামলার ঘটনায় আহত ব্যক্তিরা হলেন- স্বতন্ত্র প্রার্থীর ছোটবোন শাহিদা আকতার (৪০), মোহাম্মদ এহলাস (২৪), বুলু আকতার (৫০), শামীমা আকতার (৪০), ইদ্রিছ, (৩৫), ইমাম শরীফ (৮০) এবং আওয়ামী লীগের নৌকার সমর্থক মোহাম্মদ মামুন (৫৫), মোহাম্মদ আলী (৪৫), মোহাম্মদ হাবীব (৪০), নুরুল হক (৪৫), মোহাম্মদ ইউসুফ (৩২)।

বিকেলে সরেজমিন ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ইউনিয়নের শাহজীপাড়া ও বদলমাঝির বাড়ি এলাকায় নিবার্চনী প্রচার-প্রচারণায় যান স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহদাত হোসেন চৌধুরী। দুপুর একটার দিকে জুম্মার নামাজ পড়ার জন্য সমর্থকদের নিয়ে শাহজীপাড়া জামে মসজিদে প্রবেশ করলেও নৌকার সমর্থকরা মসজিদের ভেতরে ঢুকে লাঠি নিয়ে হামলা করে। এসময় উভয়পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর প্রায় ৩ ঘণ্টা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন বরুমছড়ার শাহজীপাড়া এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহদাত হোসেন চৌধুরী ও তার সমর্থকরা। পরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর হাসান চৌধুরী ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম দিদারুল ইসলাম গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী শাহদাত হোসেন চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে আমার বোনসহ সমর্থকদের নিয়ে আমার নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণা চালাই। দুপুরে যখন জুম্মার নামাজের সময় হয়, তখনই নামাজ আদায় করতে শাহজীপাড়া এলাকার জামে মসজিদে ঢুকি। ওই সময় প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। মসজিদের বাইরে থাকা আমার বোনকেও তারা মারধর করে আহত করেন। এদের হামলায় আমার বেশ কয়েকজন সমর্থক আহত হয়েছেন।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী সামশুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে বিদ্রোহী প্রার্থী শাহদাত হোসেন চৌধুরীর সমর্থকরা ফেসবুকে উস্কানীমূলক পোস্ট দিচ্ছে। শুক্রবার দুপুরে দু’পক্ষের মধ্যে একটু হাল্কা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।’ এঘটনায় আমার সমর্থকও আহত হয়েছে। আমি থানায় একটি অভিযোগ করেছি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদার। পূর্বকোণকে তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। খরব পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষ থানায় অভিযোগ করেনি।

পূর্বকোণ/সুমন/মামুন/পারভেজ