চট্টগ্রাম বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

ভারী বৃষ্টি হলেই পাহাড় ধসে প্রাণহানির শঙ্কা

পূর্বকোণ প্রতিনিধি, রাঙামাটি অফিস

৮ জুন, ২০২১ | ১২:৪৭ অপরাহ্ণ

রাঙামাটিতে অতি ভারী বৃষ্টি শুরু হলে আবারো বড় ধরনের পাহাড় ধসের আশংকা করা হচ্ছে। কারণ পাহাড়ের নিচে মানুষের বসবাস কমেনি বরং আগের চেয়ে আরো বেড়েছে।  পাহাড়ের নিচে মানুষ পুনরায় ঘরবাড়ি করে পরিবার নিয়ে বসবাস করছে। ২০১৭ সালের ১৩ জুন রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে ১২০ জনের প্রাণহানি ঘটে। এবারো অতি ভারী বৃষ্টির আগাম সতর্কতায় সে আশংকাই সকলকে ভাবাচ্ছে। ্আর এই বিষয়টি মাথায় রেখে করোনা প্রতিরোধের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ স্থান চিহ্নিত করে সাইন বোর্ড টাঙিয়ে বসবাসের উপর সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং বর্ষা শুরু হলেই মানুষ যাতে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে আসে তা নিয়ে আগাম প্রচারণা শুরু করেছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন।

প্রতিবারই বর্ষায় পাহাড় ধসে প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। কিন্তু সেই মৃত্যুকূপে পুনরায় ঘরবাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করছে লোকজন। প্রতি বর্ষা মৌসুমে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাস এবং স্থাপনা নির্মাণ করতে নিষেধ করে সাইন বোর্ড টাঙিয়ে সতর্ক করা হলেও সেই নিষেধাজ্ঞা মানছে না লোকজন। ফলে রাঙামাটি সদরের রূপনগর, শিমুলতলী, ভেদভেদীসহ বিভিন্ন এলাকায় ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে কয়েক হাজার পরিবার।

গতকাল সোমবার রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, ইতোমধ্যে রাঙামাটি পৌরসভা এলাকার ৩৩টি স্থানকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে সচেতনামূলক সাইন বোর্ড টাঙিয়ে দেয়াসহ নানান পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া ঝুঁকিতে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে থাকার জন্য ২৯টি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আর কোথাও যদি পাহাড় ধসে দুর্ঘটনা ঘটে তার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে ৯টি ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলরদের নিয়ে একটি করে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রাঙামাটিসহ ৯টি উপজেলায় সকল ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

রাঙামাটি পৌর মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী বলেন, ২০১৭ সালের পাহাড় ধসের অভিজ্ঞতার আলোকে আমরা রাঙামাটি পৌর এলাকায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি যাতে করে পাহাড় ধসের কারণে প্রাণহানি আর না ঘটে। ইতিমধ্যে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাত হলে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরে গিয়ে যাতে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যায় তার জন্য পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তবে অনেকেই পাহাড়ের পাদদেশে বসত গড়েছে। এতে করে ভারী বৃষ্টিপাত হলে ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।

পূর্বকোণ/এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট