গাজায় খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানির ওপর ইসরাইলের অবরোধের কারণে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ক্ষুধা ও দুর্দশার সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বলছে, খাদ্য সংকটের মধ্যে গাজার ‘সবাই’ ক্ষুধার্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের অব্যাহত বোমা বর্ষণ ও অবরোধের মধ্যে গাজায় চলমান অপ্রতিদ্বন্দ্বী মানবিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষ বা চরম খাদ্য সংকটের শিকার হওয়া মানুষের মধ্যে ৮০ শতাংশই এখন গাজাবাসী।
জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘বর্তমানে গাজার প্রতিটি মানুষই এখন ক্ষুধার্ত, এক চতুর্থাংশ জনগোষ্ঠী খাবার ও পানযোগ্য পানির সন্ধান পেতে হিমশিম খাচ্ছে এবং দুর্ভিক্ষ অবিশ্ব্যম্ভাবী। গর্ভবতী নারীরা পর্যাপ্ত পুষ্টি ও স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছেন না, ফলে তাদের জীবন ঝুঁকিতে রয়েছে। তার উপর, পাঁচ বছরের কম বয়সী ৩ লাখ ৩৫ হাজার শিশু মারাত্নক পুষ্টির অভাবে ভুগছে এবং পুরো একটি প্রজন্মের বৃদ্ধি বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। এটি একটি সম্পূর্ণ প্রজন্মের শেখার ক্ষমতা নষ্ট করে দেবে।’
গাজায় কোনো স্থানই নিরাপদ নয়। গত ৯ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজায় ‘সম্পূর্ণ অবরোধ’ আরোপ করেছে এবং ২৩ লাখ ফিলিস্তিনিকে পানি, খাদ্য, জ্বালানি, ঔষধ ও চিকিৎসা সরবরাহ থেকে বঞ্চিত করেছে।
পূর্বকোণ/এএইচ