কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কানাডায় গিয়ে পালিয়েছেন বিমানের সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আনোয়ার হোসেন। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির বাণিজ্যিক তত্ত্বাবধায়ক সোহান আহমেদ নিখোঁজ রয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বিমানের এমডি শফিউল আজিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, সোহান বেসরকারি এয়ারলাইন্স ইউএস বাংলায় যোগদান করেছেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার ও তথ্য রয়েছে বলে তাদের কাছে। ওই দুই কর্মকর্তার মাধ্যমে তথ্য পাচারসহ বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিমানের এমডি। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
শফিউল আজিম বলেন, মো. আনোয়ার হোসেন পালিয়ে কানাডায় গিয়েছেন। সোহান আহমেদ দেশের মধ্যেই রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বিমানকে ব্যবহার করে কেউ যাতে কানাডায় পালিয়ে যেতে না পারে সেই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আর যিনি নিয়ম না মেনে একটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সে যােগদান করেছেন তার মাধ্যমে বিমানের পলিসি প্ল্যান ও টিকিট বিক্রির নানা গুরত্বপূর্ণ তথ্য পাচার হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় গতকাল সোমবার (১৫ জানুয়ারি) একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, গত ৭ ডিসেম্বর কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বিমানের বিজি-৩০৫ ফ্লাইটে সহকারী ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আনোয়ার হোসেন কানাডায় পালিয়ে যান। বিমানের বাণিজ্যিক তত্ত্বাবধায়ক সোহান আহমেদ পলাতক রয়েছেন ২৪ অক্টোবর থেকে।
সাধারণ ডায়েরিতে (জিডি) আরও বলা হয়, পলাতক এই দুই কর্মকর্তার কাছে বিমানের বিভিন্ন চুক্তিপত্র, আরআই পলিসি এবং সফটওয়্যারের তথ্য রয়েছে। তারা তথ্য পাচার করবে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এতে বড় ধরনের ক্ষতি ও ঝুঁকিতে পড়তে পারে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
বিমানবন্দর থানা পুলিশ জানায়, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পূর্বকোণ/এএইচ