চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

রুশ-ইউক্রেন সংঘাত : কৃষ্ণসাগরে মাইন সরাতে নামছে ৩ দেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

১২ জানুয়ারি, ২০২৪ | ১২:৫৫ অপরাহ্ণ

রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে সংঘাত চলছে টানা প্রায় দুই বছর ধরে। পানিপথে প্রতিপক্ষকে দুর্বল করতে সংঘাতের শুরু থেকেই কৃষ্ণসাগরে ভাসমান মাইন স্থাপন করে রাখা হয়েছে। ভাসমান এসব মাইন এখন পুরো অঞ্চলজুড়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে।

এই পরিস্থিতিতে কৃষ্ণসাগরে মাইন সরাতে চুক্তি করেছে ৩ দেশ। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে কৃষ্ণসাগরে ভেসে থাকা মাইনগুলো পরিষ্কার করার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে তুরস্ক, রোমানিয়া এবং বুলগেরিয়া। এসব মাইন কৃষ্ণসাগরে জাহাজ চলাচলের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বৃহস্পতিবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে রোমানিয়ান প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাঞ্জেল তিলভার এবং বুলগেরিয়ার উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী আতানাস জাপ্রিয়ানভের সাথে দেখা করেন তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াসার গুলার। পরে তিনি বলেন, চুক্তির অধীনে মাইন মোকাবিলা করার জন্য ন্যাটোভুক্ত এই তিনটি দেশ মাইন কাউন্টারমেজারস টাস্ক গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছে।

জাপ্রিয়ানভ বলেছেন, এসব মাইন ‘বন্দর, যোগাযোগ নেটওয়ার্ক এবং অবকাঠামোর জন্য বিপদ’ সৃষ্টি করেছে। আর তিলভার বলেছেন, রাশিয়ার ‘আন্তর্জাতিক আইনের মানদণ্ডের প্রতি অবজ্ঞা এবং কৃষ্ণসাগরে দেশটির আগ্রাসন কেবল আঞ্চলিক সমস্যা নয়, বৈশ্বিক সমস্যাও তৈরি করেছে।’

আল জাজিরা বলছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে সামুদ্রিক মাইনগুলো ইউক্রেনের কৃষ্ণসাগরীয় রপ্তানি রুটের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া গত ডিসেম্বরে কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর পেতে রাখা মাইনের আঘাতে একটি কার্গো জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

রেনি এবং ইজমেল নামে ইউক্রেনের দানিয়ুবে দুটি প্রধান বন্দর রয়েছে। আগাসনের পর রাশিয়ার ইউক্রেনীয় কৃষ্ণসাগর বন্দর অবরোধ এবং গত বছরের জুলাই মাসে জাতিসংঘ-সমর্থিত চুক্তি থেকে মস্কো বের হয়ে আসার পর থেকে ওই বন্দর দুটি দেশটির শস্য রপ্তানির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।

ন্যাটোভুক্ত ওই তিনটি দেশের চুক্তির পর প্রতিটি দেশ থেকে তিনটি মাইনহান্টিং জাহাজ এবং একটি কমান্ড-কন্ট্রোল জাহাজ এই কাজে বরাদ্দ করা হবে বলে তুরস্কের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

তবে এই উদ্যোগটি শুধুমাত্র তিনটি দেশের জন্যই উন্মুক্ত থাকবে যাদের নৌ কমান্ডাররা অপারেশন চালানোর জন্য কমিটি গঠন করবেন বলে গুলার জানিয়েছেন। তার মতে, যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরে কৃষ্ণসাগরের আশপাশের অন্যান্য দেশকেও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে।

রাশিয়া এবং ইউক্রেন কৃষ্ণসাগরের উপকূলে বিপজ্জনক এসব মাইনের জন্য একে অপরকে দায়ী করেছে।

 

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন