কক্সবাজারের উখিয়ার জালিয়াপালংয়ে চাঞ্চল্যকর খুনসহ ডাকাতির ঘটনার মূলহোতা আহমদ শরিফ প্রকাশ শরিফ্যা ডাকাত এবং তার অন্যতম সহযোগী রেজাউল করিম প্রকাশ বাবুলকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৫। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, তাজা এবং খালি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাবের উদ্যোগে আয়োজিত বৃহস্পতিবার (২১ জুন) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়- গত ২৩ জুন রাতে উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের নিদানিয়ায় মৃত নুরুল আমিন ও হাসান আলীদের বাড়িতে সশস্ত্র ডাকাতি সংঘটিত হয়। কুখ্যাত ডাকাত আহমদ শরিফের নেতৃত্বে ৭-৮ জন মুখোশধারী ডাকাত অবৈধ বন্দুক, ধারালো দা, চাকু ও শাবল নিয়ে জোরপূর্বক বাড়িতে প্রবেশ করে। তারা ঘরের মহিলা ও অন্য সদস্যদের হাত-পা বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ৯৫ হাজার টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও একটি স্মার্টফোন লুট করে।
লুণ্ঠিত মালামাল নিয়ে পালানোর সময় ভিকটিম নুরুল আমিন ও তার ভাই হাছান আলী ডাকাতদের মুখোমুখি হন। এ সময় ডাকাতরা তাদের মারধর শুরু করে। পরিবারের সদস্যরা চিৎকার শুরু করলে এবং ভিকটিম নুরুল আমিন ডাকাত শরিফকে চিনতে পারায়, শরিফ নুরুল আমিনকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে। গুলিবিদ্ধ নুরুল আমিনকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত নুরুল আমিনের স্ত্রী পরবর্তীতে উখিয়া থানায় আহমদ শরিফকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার পরপরই র্যাব-১৫ এর একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং জড়িতদের সনাক্ত ও গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
আসামিরা বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করলেও গতকাল রাতে র্যাব উখিয়া থানা পুলিশের সহযোগীতায় প্রধান আসামি আহমদ শরিফের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে ও তার অন্যতম সহযোগী রেজাউল করিমকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারের আসামিদের পরিচয় প্রকাশ করে র্যাব জানিয়েছে- তাদের মধ্যে একজন হলেন আহমদ শরিফ প্রকাশ শরিফ্যা ডাকাত (এজাহারনামীয় ১ নম্বর আসামি)। তিনি উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের পূর্ব নুরার ডেইল এলাকার ওমর মিয়ার ছেলে। গ্রেপ্তার অপর ব্যক্তি হলেন- রেজাউল করিম প্রকাশ বাবুল। তিনি রত্নাপালং ইউনিয়নের পশ্চিম রত্না এলাকার
ছৈয়দ আলমের ছেলে।
গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে ৪টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ১ রাউন্ড তাজা এ্যামুনেশন ও ১ রাউন্ড খালি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব ১৫’র কর্মকর্তা ফারুক চৌধুরী জানান, এই চাঞ্চল্যকর খুনসহ ডাকাতির ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট অন্য ডাকাতদের গ্রেপ্তার ও লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধারে তাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
পূর্বকোণ/এএইচ