বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, দেশের জনগণের মাধ্যমেই আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে। সোনার দেশ গড়তে হলে সোনার মানুষ চাই। আমাদের শহীদ নেতৃবৃন্দ সোনার মানুষ ছিলেন। দুইজন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করে বুঝিয়ে দিয়েছেন জামায়াত ইসলামী একমাত্র সুশাসন ও দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম। এজন্য আল্লাহকে ভয় করতে হবে। আল্লাহর ভয়ে যে হৃদয় সিক্ত, সে কারো জীবন, সম্পদ, ইজ্জত ও সম্মানের ওপর হাত দিতে পারে না। বরং সে অন্যের পাহারাদার হয়ে যায়।
শুক্রবার (৩০ মে) সকাল ১০টায় চট্টগ্রামের বহদ্দরহাটের এ. কে. কনভেনশন হলে উত্তর জেলা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত রুকন প্রার্থী ও অগ্রসর কর্মী শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষা শিবিরে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক জাফর সাদেক, উত্তর জেলা শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাওলানা বোরহান উদ্দিন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সহকারী এটর্নি জেনারেল, সাবেক ছাত্র নেতা এডভোকেট সাইফুর রহমান।
জেলা আমীর আলাউদ্দিন সিকদারের সভাপতিত্বে সেক্রেটারি আব্দুল জব্বারের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক ফজলুল করিম, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার সিদ্দিক চৌধুরী, জেলা শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য আবদুল কুদ্দুছ, ইঞ্জিনিয়ার বোরহান উদ্দিন, ইউসুফ বিন আবু বকর, রফিকুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন আজাদ, মুহাম্মদ মুহয়ূউদ্দীন, জেলা সহকারী অফিস সেক্রেটারি এজাহারুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. তাহের বলেন, দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে তারা ধরে নিয়েছিলেন এবং তাদের অহংকারে আমাদের মনে হয়েছিল তারা কিয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবেন। তারা দেশের মজলুম মানুষকে নিয়ে উপহাস করতেন। তারা দেশপ্রেমিক লোকদের ফাঁসি দিয়ে হত্যা করে উল্লাস প্রকাশ করেছেন, মিষ্টি বিতরণ করেছেন। তবে তারা আল্লাহর সঠিক বিচার পেয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেই বাংলাদেশে কোনো ধরনের জুলুম হবে না, শোষণ হবে না, নিপীড়ন হবে না। নতুন কোনো ফ্যাসিবাদের জন্ম নিবে না। আমরা এমন একটি বাংলাদেশ চাই যেখানে মানুষে মানুষে কোনো বৈষম্য থাকবে না, যেখানে আমরা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হবো না, যেখানে দুর্নীতির দুর্গন্ধও থাকবে না। ঘুষের যাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে কোনো নাগরিক কাঁদবে না। বিচারের বাণী আর নিভৃতে কাঁদবে না, বিচার না পেয়ে কেউ আত্মহত্যা করবে না। সেই চিত্র আর আমরা বাংলাদেশে দেখতে চাই না। এমন বাংলাদেশ চাই, যেখানে দল-ধর্মের অধিকারের ব্যাপারে কোনো ব্যবধান থাকবে না। দেশের প্রতিটি নাগরিকের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে, ইনশাআল্লাহ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ শাহাজাহান বলেন, বাইয়াত বা শপথ ইসলামের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিক। মানব জীবনে সফলতার জন্য বাইয়াতের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। বাইয়াতবিহীন মৃত্যু জাহিলিয়াতের মৃত্যু। বাইয়াত মানুষের জীবনকে সুন্দর, জ্ঞানগত পরিপূর্ণতা, মানুষের কল্যাণকামী ও উন্নত আমলের ক্ষেত্রে অন্যতম ভূমিকা পালন করে।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ