গভীর নিম্নচাপ ও সঞ্চালনশীল মেঘমালার প্রভাবে টানা ভারী বর্ষণ ও ঝড়ো হাওয়ায় কক্সবাজারের ৯টি উপজেলায় ৩৬ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ।
গত বুধবার (২৮ মে) দুপুরের পর থেকেই জেলার একেক করে উপজেলাগুলো বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে। বিদ্যুৎহীন থাকা এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে মহেশখালী, কুতুবদিয়া, চকরিয়া, পেকুয়া, উখিয়া, টেকনাফ, রামু, ঈদগাঁও এবং কক্সবাজার সদর উপজেলার আংশিক এলাকা। শুক্রবার (৩০ মে) পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করলে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়।
কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির আওতাধীন এসব এলাকায় এখন পর্যন্ত মাত্র ২০ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা সম্ভব হয়েছে বলে জানা গেছে। এখনো বিদ্যুৎহীন রয়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকা, যেখানে লাখো মানুষ অন্ধকারে ও পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মকবুল আলম এই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণ হিসেবে ভারী বর্ষণকে দায়ী করেছেন। তিনি জানান, বৃষ্টি কমে গেলে সব উপজেলায় পুনরায় বিদ্যুৎ চলে আসবে। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, যদি এই ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকে তাহলে আবারো বিদ্যুৎবিহীন কাটাতে হবে।” মকবুল আলম আরও জানান, বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে তাদের একাধিক টিম নিরলস কাজ করছে।
এদিকে, কক্সবাজার বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল কাদের গণি জানান, ঝড় বৃষ্টিতে কোনো কিছুই ভালো নেই। তবে বৃষ্টি কমার কারণে কক্সবাজার সদরের সকল ফিডার চালু হয়েছে। কিছু বিচ্ছিন্ন অভিযোগ রয়েছে, যা কাটিয়ে উঠতে তাদের কর্মীরা কাজ করছেন।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, টানা ভারী বর্ষণে গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ১৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে এবং আগামী দুই দিনও বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। বিদ্যুৎহীনতা এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া মোকাবেলায় স্থানীয় প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত জনগণ।
পূর্বকোণ/এরফান/জেইউ/পারভেজ