নোয়াখালীর হাতিয়ায় কুতুবদিয়ার লবণবাহী ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৫ মাঝি-মাল্লাকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো মোরশেদ আলম, জিল্লুল করিম (আরজু) ও রুবেল নামের ৩ জন নিখোঁজ রয়েছে।
আজ শুক্রবার (৩০ মে) ভোরে উদ্ধারকৃত ওই ৫ জনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উদ্ধারকৃত মুবিনের শারীরিক অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরি মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করে এ প্রতিবেদককে বলেন, সাগরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় উদ্ধারকৃত কুতুবদিয়ার ৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে। তন্মধ্যে একজনের ফুসফুসে পানি জমেছে। যার কারণে আজ শুক্রবার সকাল এগারোটার দিকে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। অতিরিক্ত লবণাক্ত পানি ঢুকার কারণে বাকি চার জন চোখ খুলতে পারছে না। তবে চিকিৎসা চলমান থাকলে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে বলে জানান তিনি।
উদ্ধারকারীদের একটি সূত্র বলছে, ডুবে যাওয়া ট্রলারের একটি কাটের সিঁড়ি ধরে সাগরে ভাসছিলেন ৮ মাঝি-মাল্লা। শুক্রবার ফজরের আগে হাতিয়ার ’নামার চর’ নামক স্থান থেকে ভাসমান অবস্থায় সেখানকার একটি ছোট নৌকা তাদের মধ্যে ৫ জনকে জীবিত উদ্ধার করে।
বাকি ৩ জনের মধ্যে ২ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হলেও সমুদ্র উত্তাল হওয়ায় তাদের কোলে আনা সম্ভব হয়নি। এছাড়া জীবিত থাকা অপর জন তীব্র ঢেউয়ে উদ্ধারকৃতদের হাত থেকে ছিটকে পড়েন বলে জানা গেছে।
এদিকে নিখোঁজ ৩ মাঝি-মাল্লাকে উদ্ধারের জন্য বেশ কয়েকটি ট্রলার নিয়ে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানায় ট্রলার মালিক মো. সাইফুদ্দিন।
উল্লেখ্য, বুধবার সকাল ১১ টার দিকে ভাসানচরের দক্ষিণে হাতিয়ার লাল বয়ার কাছাকাছি বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে লবণবাহী ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে নিখোঁজ হয় আপন চাচা ভাতিজা শফিউল আলম ও মুবিনসহ কুতুবদিয়ার আরো ৮ মাঝি-মাল্লা।
পূর্বকোণ/সুজন/জেইউ/পারভেজ