কক্সবাজার জেলা পরিষদে ঘুষ লেনদেনের সময় হাতেনাতে আটক হয়েছেন এক ব্যক্তি।
গত মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে জেলা পরিষদের নিম্নমান সহকারী রেজাউল করিমকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণকালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় জেলা পরিষদসহ স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
দুদক কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শাখাওয়াত হোসেন পূর্বকোণকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, খৈয়ারবিলের এক ব্যবসায়ী জেলা পরিষদ থেকে একটি দোকান ইজারা নিয়েছিলেন। সেই দোকান টিকিয়ে রাখার বিনিময়ে আটক রেজাউল করিম ওই ব্যবসায়ীর কাছে ৩ লাখ টাকা দাবি করেন এবং অন্যথায় দোকান কেড়ে নেওয়ার হুমকি দেন।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বলেন, তার কাছে একত্রে ৩ লাখ টাকা না থাকায় তিনি কয়েক ধাপে টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দেন। পরে তিনি বিষয়টি কক্সবাজার দুদক কার্যালয়ে জানালে, দুদকের একটি দল ফাঁদ পাতে। প্রথম ধাপের ৫০ হাজার টাকা ঘুষ লেনদেনের সময় রেজাউল করিমকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়।
দুদক কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর খবর পেয়ে রেজাউলের আরও দুই সহযোগী দ্রুত পালিয়ে যায়। দুদক কর্মকর্তা শাখাওয়াত হোসেন জানান, আটক রেজাউল করিম মামলার দ্বিতীয় আসামি। তবে, অভিযোগকারী অপর দুই আসামিকে শনাক্ত করতে না পারায় তাদের তাৎক্ষণিকভাবে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও জানান, পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
পূর্বকোণ/এরফান/জেইউ/পারভেজ