ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে চোখের আলো থেকে বঞ্চিত কক্সবাজারের চকরিয়ার সন্তান সুরত আলম। তবে মনের আলোয় ভরা অদম্য সুরত পেরিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি। স্নাতকোত্তর পাস করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ থেকে। পড়াশোনার পাঠ চুকালেও চাকরির আশায় বসে থাকেননি জন্ম থেকেই দৃষ্টিহীন সুরত। মায়ের জমানো টাকা আর এনজিও’র ঋণে কিনেন একটি অস্ট্রেলিয়ান জাতের গরু; নাম রাখেন মহারাজ। এবার কোরবানির ঈদে সেই মহারাজ বিক্রি করেই উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন এই তরুণ।
সুরত আলম জানান, তিন বছর আগে মায়ের ডিপিএস ভেঙে এবং ঋণের টাকায় গ্রামের হাট থেকে ‘মহারাজ’কে কিনি। ইচ্ছে ছিল পড়ালেখা শেষ করে বেকার না থেকে একজন উদ্যোক্তা হবো। এখন এই গরুকে ঘিরেই আমার স্বপ্ন, কর্মসংস্থানের ভাবনা।
তিনি বলেন, মহারাজকে শুধু গরু হিসেবে নয়, নিজের স্বপ্ন, সংগ্রাম ও ভালোবাসা হিসেবেই দেখেছি। কিন্তু লালনপালনে প্রতিমাসে ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। সবমিলিয়ে ১০ লাখ টাকা ঋণ হয়েছে। তাই এ বছর মহারাজকে বিক্রি করে দিতে চাই। বিক্রির টাকায় নতুন ব্যবসা শুরু করতে চাই।
সুরত আলম বলেন, দৃষ্টিহীন হওয়ায় আমার চাকরির সুযোগ কম। কোন প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিতে চায় না। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে চিন্তাভাবনা করে মহারাজকে লালন করছি। ১৪ লাখ টাকা পেলে বিক্রি করবো। এখন একে ঘিরেই আমার কর্মসংস্থানের ভাবনা।
পূর্বকোণ/ইবনুর