চট্টগ্রাম বুধবার, ০১ মে, ২০২৪

স্বপ্নের পিংক সিটি-২ এর প্লট বুঝে নিচ্ছেন বরাদ্দপ্রাপ্তরা

জাহেদুল আলম, রাউজান

৩১ মে, ২০২৩ | ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের পাশে রাউজানের পাহাড়তলীতে ‘জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ’ চট্টগ্রাম বিভাগের অধীনে গড়ে উঠা স্বপ্নের পিংক সিটি-২’র প্লট বুঝে পেতে যাচ্ছেন বরাদ্দপ্রাপ্তরা। এর ফলে রাউজানে সংসদ সদস্য এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর আরো একটি বড় স্বপ্ন পুরোপুরি বাস্তবায়নের মুখ দেখছে।

 

গতকাল ৩০ মে মঙ্গলবার থেকে প্লটগুলো স্ব স্ব বরাদ্দপ্রাপ্তদের কাছে ‘বাস্তব দখল’ বুঝিয়ে দেয়া শুরু করেছেন জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা। প্রাথমিক পর্যায়ে গতকাল মঙ্গলবার প্রথমদিন ৬ জন প্লট গ্রহীতাকে পিংক সিটি-২ এর বাস্তব দখল দেয়া হয়। পর্যায়ক্রমে অর্থাৎ প্রতি সপ্তাহে প্লটধারীদের কিস্তির অর্থ পরিশোধ সাপেক্ষে বাস্তব দখল দেয়া হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। বাস্তব দখল বুঝিয়ে দেয়ার পরপরই রেজিস্ট্রির প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে নিশ্চিত করেছে ওই কর্তৃপক্ষ।

 

এদিকে পিংক সিটি-২ এর বাস্তব দখল ও রেজিস্ট্রি প্রদানের খবরে আনন্দিত হওয়ার পাশাপাশি আশায় বুক বেঁধেছেন প্লট বরাদ্দ পাওয়া নিয়ে দীর্ঘশ্বাসে থাকা বরাদ্দপ্রাপ্তরা। এর আগে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি সড়কের পাশে রাউজান পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডে গড়ে-উঠা পিংক সিটি-১ এর প্লটের বাস্তব দখল বুঝিয়ে দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে ওই কর্তৃপক্ষ।

 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রথম ধাপে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম বিভাগ ২৩ থেকে ৩০ জনকে প্লট বরাদ্দপ্রাপ্তকে (প্লটের সব কিস্তি পরিশোধের ভিত্তিতে) পিংক সিটি-২’তে এসে বাস্তব দখল বুঝিয়ে দেয়ার তালিকা চূড়ান্ত করেছে। তারই অংশ হিসেবে গতকাল মঙ্গলবার বেশ কয়েকজনকে প্লটের বাস্তব দখল বুঝিয়ে দিতে আসেন জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম বিভাগের অধীনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

 

এ প্রসঙ্গে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডি) নিজামুল হক মজুমদার বলেন ‘আজ (গতকাল মঙ্গলবার) প্রথমে ৬ জনকে প্লটের বাস্তব দখল দেয়া হয়েছে। এভাবে প্রতি সপ্তাহে ৮ থেকে ১০ জনক প্লট মালিককে কিস্তি পরিশোধ সাপেক্ষে বাস্তব দখল দেয়া হবে। এরপর সর্বশেষ কিস্তি পরিশোধ করলে রেজিস্ট্রি প্রদান কার্যক্রম শুরু হবে।’ তিনি বলেন, ‘প্লট গ্রহীতারা আগে চতুর্থ কিস্তি দিতে হবে কি হবে না, তা নিয়ে সংশয়ের মধ্যে থাকলেও গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চতুর্থ কিস্তি পরিশোধ করতে হবে। কেননা, গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ প্রকল্পের উন্নয়ন অনুসারে ব্যয় করে এ ধরণের প্রকল্পে। প্রকল্পটিতে খরচ বেড়েছে। এ জন্য সর্বশেষ কিস্তি (চতুর্থ কিস্তি) পরিশোধ করতে হবে।’

 

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিন বলেন, ‘পাহাড়তলীর এই পিংক সিটি-২ হবে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপির মডেল রাউজানের মধ্যে আরেকটি স্বপ্নের ঠিকানা। আমি আশা করবো, যারা প্লট বুঝে নিচ্ছেন বা রেজিস্ট্রি নেবেন, তারা সেখানে দ্রুত ঘর নির্মাণকাজ শুরু করবেন। তাদেরকে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে।’

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট