চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সাংসদ বাহাউদ্দিন এলাকা না ছাড়লে ইসির কিছু করার নেই: সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক

১২ জুন, ২০২২ | ৮:১৮ অপরাহ্ণ

নির্বাচন কমিশন (ইসি) চিঠি দেয়ার পরও কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন এলাকা না ছাড়লে ইসির কিছুই করার নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

রবিবার (১২ জুন) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক মতবিনিময় সভা শেষে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সিইসি। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও ইসির সাবেক সচিব-অতিরিক্ত সচিবদের সঙ্গে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয় আজ।

এমপি বাহাউদ্দিন বাহার সম্পর্কে সিইসি বলেন, আমরা যখন কাউকে রিকোয়েস্ট করি, উনাকে যদি আমরা বলে থাকি নির্বাচনী আচরণবিধিতে এটা আছে, আপনি যদি একটু সরে থাকেন, তাহলে নির্বাচনটা ভালো হয়। সে চিঠিটা আমরা প্রকাশ করেছি। এটাই তো একজন সংসদ সদস্যের জন্য এনাফ। এটাকে তো অনার করা লাগবে। যদি উনি কমিশনের চিঠিকে অনার না করেন আমাদের তো তেমন কিছু করার থাকে না।

কুসিক নির্বাচন ঘিরে এমপি বাহারের এলাকা না ছাড়া বিষয়ে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমাদের কিছু আইনগত দিক আছে। কিছু ক্ষমতা আংশিক, কিছু পরিপূর্ণ। কুমিল্লায় যা বলা হয়েছে- সরকারি সুবিধাভোগী অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা নির্বাচনী এলাকায় থাকতে পারবেন না। সংসদ সদস্য (এমপি বাহার) এ আচরণবিধি ভঙ্গ করছেন বলে প্রতীয়মান হয়েছে, আমরা উনাকে চিঠির মাধ্যমে এলাকা ছাড়তে বলেছিলাম। উনি এলাকা ছাড়েননি। উনি মামলা করেছেন, আমরা ফলাফল পাইনি।

সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে সংলাপের বরাত দিয়ে সিইসি বলেন, সংলাপে অতিথিরা বলেছেন, বর্তমান সিস্টেমে কুসিকে খুব বেশি ভালো নির্বাচন করা সম্ভব নয়। তবে আমরা যদি দৃঢ় থাকি, আইন দৃঢ়ভাবে বাস্তবায়নের চেষ্টা করি, তাহলে পরিস্থিতির অনেকটা উন্নয়ন সম্ভব।

সিইসি মনে করেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা ও ঐতমত্য না থাকলে কমিশনের একার পক্ষে ভালো নির্বাচন করা কষ্টকর হবে।

তিনি বলেন, সাবেক সিইসি রউফ সাহেব (বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ) প্রার্থী অনুযায়ী নয়, দলভিত্তিক নির্বাচনের কথা বলেছেন। নির্বাচনে দেখা গেল যে অনেক আগে থেকে দলগুলো তাদের টোটাল প্রার্থীর নাম দিয়ে যাবে। সবাই তিনশ আসনে দিল। পার্টি ক, খ, গ, ঘ। যে যত ভোট পেয়েছে, সেভাবে আসন পাবে। এই ধরনের একটা সিস্টেম আছে। তবে এটা আমাদের বিষয় নয়। দলগুলোকেই দেখতে হবে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান আইনি ও সাংবাধিনাকি কাঠামোর মধ্যে থেকেই আমাদের নির্বাচন করতে হবে। কেউ কেউ বলেছেন, একাধিক দিনে নির্বাচন করলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন সহজ হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে। কেউ কেউ এতে সমস্যার দিকটিও উল্লেখ করেছেন। এ নিয়ে কোনো ঐক্যমত হয়নি। কাজেই একাধিক দিনে নির্বাচন করলে আমাদের জন্য অসুবিধাও হতে পারে। সেরকম প্রস্তুতিও আমাদের নেই।

পূর্বকোণ/মামুন/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট