বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হলেন সম্প্রতি নানা ইস্যুতে সমালোচনার মুখে পড়া চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার। অনৈতিকভাবে সমিতির প্যাড ব্যবহার করে মনগড়া বিবৃতি প্রদান করার অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের মিটিংয়ে সর্বসম্মতিক্রমে নিপুণকে বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়। এ নিয়ে সংবাদমাধ্যমকে আপাতত কিছু না বলতে চাইলেও বহিষ্কারের সত্যতা স্বীকার করেছেন শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র অভিনেতা ডিএ তায়েব।

জানা গেছে, অনৈতিকভাবে সমিতির প্যাড ব্যবহার করে মনগড়া বিবৃতি প্রদান করার অভিযোগ ছিল নিপুণের বিরুদ্ধে। গতবছর কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৬ জুলাই শিল্পী সমিতির প্যাড ব্যবহার করে একটি বিবৃতি দেন নিপুণ। সেখানে নিজেকে সাবেক সাধারণ সম্পাদক বলে উল্লেখ করেন। পরদিন সামাজিকমাধ্যমেও সেটি শেয়ার করেছিলেন তিনি। এ নিয়ে তখন নেটিজেনদের ব্যাপক তোপের মুখে পড়েন অভিনেত্রী।

গতবছরের ৩০ জুলাই মিশা-ডিপজল নেতৃত্বাধীন কমিটির ষষ্ঠ সভায় বিষয়টি উত্থাপিত হলে নিপুণকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিলেও অভিনেত্রী তা তোয়াক্কা করেননি; চালিয়ে যান তার সব বিতর্কিত কর্মকাণ্ড।

এর পরিপ্রেক্ষিতে সমিতির প্যাড ব্যবহার ও সম্পাদককে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় শিল্পী সমিতি থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার হয়েছেন নিপুণ। এ বিষয়ে জানতে গণমাধ্যমের তরফ থেকে নিপুণের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যবহৃত নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠালেও তাতে সাড়া মেলেনি।

কিছুদিন পরপরই নানা ইস্যুতে সমালোচনার মুখে পড়েন নিপুণ। কখনও শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে, কখনও বা বেফাঁস মন্তব্যের জন্য। আবার কয়েকদিন আগে দেশ ছাড়তে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন অভিনেত্রী। ঢাকা-সিলেট হয়ে যুক্তরাজ্য যেতে চেয়েছিলেন নিপুণ।

এরপর ওসমানী বিমানবন্দরে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) সন্দেহ হলে চিত্রনায়িকা নিপুণের লন্ডন যাত্রার বিষয়ে আপত্তি তোলে। সে সময় তার পাসপোর্ট ও অন্যান্য নথিপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। প্রায় এক ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তার লন্ডনগামী ফ্লাইট বাতিল করা হয়।

পূর্বকোণ/মাহমুদ