সিআরবি জোড়াখুন মামলার প্রধান আসামি অজিত দাশ ওরফে অজিত বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করা করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বোয়ালখালীর কানুনগোপাড়ার নিজ বাড়ি থেকে অজিতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ ঘটনা নিয়ে গত ২০ জানুয়ারি পূর্বকোণে প্রকাশিত ‘প্রকাশ্যে ঘুরছেন অজিত, সাত বছরেও খুঁজে পায়নি পুলিশ’ শীর্ষক নিউজের জেরে মঙ্গলবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের ২৪ জুন রেলের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সিআরবি সাত রাস্তার মাথায় জোড়াখুনের ঘটনা সংঘটিত হয়। যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর ও সাইফুল ইসলাম লিমনের গ্রুপের মুখোমুখি মারামারিতে সাজু পালিত ও আট বছরের শিশু আরমান গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। ওই মামলায় অজিত বিশ্বাসকে প্রধান আসামি করে ৬৪জনকে অভিযুক্ত করে ২০১৭ সালের ২৭ নভেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
মামলাটি বর্তমানে বিচারের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
জোড়াখুনের মামলায় আদালতে দেয়া তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পূর্বাঞ্চল রেলের ফতেহপুর লেভের ক্রসিং, পদুয়ার বাজার লেভের ক্রসিং ও ভাতশালা স্টেশন মেরামত কাজের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে ২০১৩ সালের ২৪ জুন সিআরবি সাত রাস্তার মোড়ে যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী ও সাইফুল আলম লিমনের অনুসারীরা মুখোমুখি অবস্থান নেন। অজিত বিশ্বাস হেলাল আকবর বাবরের অনুসারী। পূর্বের একটি রেলের দরপত্র নিয়ন্ত্রণের চাঁদার ভাগভাটোয়ারা নিয়ে সাজু পালিতদের সাথে অজিতের বিরোধ চলছিলো। ঘটনার দিন সাত রাস্তার মোড়ের একটি টং দোকানে গরম পুরি নিচ্ছিলো সাজু। ওই সময় পাওনা টাকা খুঁজতে গেলে অজিতকে খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করে সাজু। এ সময় অজিত ক্ষিপ্ত হয়ে কোমরে থাকা পিস্তল বের করে মাথায় ঠেকিয়ে গুলি করলে ঘটনাস্থলে মারা যায় সাজু পালিত। এরমধ্যে লিমনের অনুসারীরা এগিয়ে এলে এলোপাতাড়ি গুলি চালালে সাত রাস্তার মোড়ে দোকানের সামনে থাকা আট বছরের শিশু আরমান প্রকাশ টুটুল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। জোড়াখুন ছাড়াও সিআরবি মসজিদের সামনে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে দায়েরকৃত আরো একটি মামলায় গ্রেপ্তার পরোয়ানা রয়েছে অজিতের বিরুদ্ধে।
পূর্বকোণ/পিআর