চট্টগ্রাম বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

সড়কে অবৈধ টেম্পো স্ট্যান্ড পথচারী চলাচলে ভোগান্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

৯ নভেম্বর, ২০১৯ | ৪:২৬ পূর্বাহ্ণ

নগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেট রেললাইনের পর ফ্লাইওভারের র‌্যাম্পের কারণে এমনিতেই সরু হয়ে যাওয়া সড়কটির মাঝে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকে ২০ থেকে ৩০টি টেম্পো। সন্ধ্যায় যোগ হয় সারিবদ্ধ ভ্যানগাড়ির কাঁচা বাজার। আর একারণে নগরীর ৮নং শুলকবহর ওয়ার্ডের এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। চালকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শুধুমাত্র অবৈধ টেম্পো থেকেই প্রতিমাসে প্রায় ১১ লাখ টাকা উঠে।

সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, ষোলশহর দুই নম্বর গেট রেললাইনের পর থেকেই ফ্লাইওভারের পাশ ঘেঁষে সড়কের মাঝে এক লাইন টেম্পো দাঁড়িয়ে থাকে। বিকাল থেকে বসতে শুরু করে কাঁচা তরকারি বিক্রেতারা। দুইপাশ থেকে সড়কটি দখল হয়ে যাওয়ার কারণে এখানে সারাক্ষণ যানজট লেগে থাকে। নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর হওয়ার পর কয়েকদিন বেশির ভাগ টেম্পোর চালকরা ভয়ে তাদের গাড়ি সড়কে নামায়নি। তাতেই বুঝা যায় এসব টেম্পো এবং চালকদের বৈধতা নেই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুই নম্বর গেট থেকে অক্সিজেন মোড় পর্যন্ত টেম্পো চলাচল করে প্রায় ১৫০টি। এছাড়া থ্রি হুইলার (বড়তাকিয়া) লম্বা টেম্পো চলে প্রায় ৬০টি। এসব লম্বা টেম্পো নগরীতে চলাচলের অনুমোদন নেই। একাধিক চালকের সাথে আলাপকালে জানা যায়, দুই নম্বর গেট এলাকায় দুলাল নামে এক ব্যক্তি প্রতি গাড়ি থেকে দৈনিক ১১৫ টাকা তুলেন। অক্সিজেন এলাকায় ছোট লেদুর পক্ষে জীবন নামে এক ব্যক্তি তুলে গাড়ি প্রতি ৩০ টাকা। শেরশাহ কলোনি মুখে সোহাগের পক্ষে ইউনুছ নামে এক ব্যক্তি তুলে গাড়ি প্রতি ৩০ টাকা এবং পলিটেকনিক মোড়ে জনি নামে এক ব্যক্তি তুলেন ১০ টাকা করে। অর্থাৎ সড়কে চলাচলকারী প্রতিটি গাড়ি থেকে চার পয়েন্টে ১৮৫ টাকা চাঁদা তোলা হয়। যার মোট অংক দাঁড়ায় প্রায় ১১ লাখ টাকা। এর বাইরে যেসব ভ্যানগাড়ি বসে প্রতিটি থেকে ১০০ টাকা করে তোলা হয়।

দুই নম্বর গেটে দুলাল নামের এক ব্যক্তি যে টাকা তুলে তা মূলত সোলায়মান বাদশার কাছে যায়। সোলায়মান বাদশা স্থানীয় যুবলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। তবে সন্ধ্যার পর থেকে সড়কের উপর যেসব দোকান বসে তার থেকে টাকা তুলে রাসেল নামে এক ব্যক্তি। থানা পুলিশের কতিপয় সদস্যও এখান থেকে ভাগ পায় বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট