নতুন করে প্রায় সোয়া এক লাখ পেন্টাভ্যালেন্ট ও পিসিভি’র ভ্যাকসিন এসে পৌঁছেছে চট্টগ্রামে। বুধবার (৩০ জানুয়ারি) দিবাগত রাত ১টার দিকে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসব ভ্যাকসিন এসে পৌঁছায়। ফলে এখন থেকে নগরীসহ চট্টগ্রাম জেলায় শিশুদের জীবন রক্ষাকারী সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) অন্তর্ভুক্ত ৬টি রোগের ভ্যাকসিনের সংকট নিরসন হল।
চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে ঢাকা থেকে ভ্যাকসিন পরিবহন গাড়ি এসে পৌঁছায় চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে। এরমধ্যে ৯৬ হাজার পেন্টাভ্যালেন্ট আর ২৪ হাজার পিসিভি ভ্যাকসিন আসে। যা পরবর্তীতে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই সেন্টারে সংরক্ষণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে এসব ভ্যাকসিন নগরীসহ জেলার প্রতিটি কেন্দ্রে সরবরাহ করা হবে।
এরআগে গত ১৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম জেলার জন্য ৪০ হাজার পেন্টাভ্যালেন্ট ও ১০ হাজার পিসিভি ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়। যা জেলা ইপিআই কেন্দ্রে সংগ্রহ করে তা নগরীসহ সব উপজেলায় সরবরাহ করা হয়েছে। তবে চাহিদার তুলনায় তা ছিল কম। যার কারণে কিছ ুকিছু কেন্দ্রে সংকট তৈরি হয়। তবে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টায় নতুন করে এসব ভ্যাকসিন সংগ্রহ করা হয়।
ভ্যাকসিন সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এক বার্তায় উল্লেখ করেন, চট্টগ্রাম জেলায় মা ও শিশুদের জীবন রক্ষাকারী সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) অন্তর্ভুক্ত সকল ধরনের টিকা পর্যাপ্ত সরবরাহ এসেছে। ইতিপূর্বেও টিকা সরবরাহ অব্যাহত রাখতে পেরেছি। টিকার স্বল্পতা আছে মর্মে গুজবে কান না দিয়ে সকল অভিভাবককে যথাসময়ে শিশুদের টিকা দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
সংশ্লিষ্টরা জানান, পিসিভি ((নিউমোকক্কাল কনজুগেট ভ্যাকসিন) ব্যবহার হয়ে থাকে শিশুদের নিউমোনিয়া প্রতিরোধের জন্য। আর পেন্টাভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন ব্যবহার হয়- ডিপথেরিয়া বা হুপিংকাশি (পারটুসিস), ধনুষ্টংকার (টিটেনাস), হিমোফিলিস, ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ-বি ও হেপাটাইটিস-বি সংক্রমণ থেকে শিশুদের রক্ষার জন্য।
পূর্বকোণ/পিআর