চট্টগ্রাম বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

বদলে যাচ্ছে আউটার স্টেডিয়াম

স্বপ্ন দেখছেন চট্টগ্রামের ক্রীড়াপ্রেমীরা

হুমায়ুন কবির কিরণ

২৭ এপ্রিল, ২০২৪ | ১২:০৩ অপরাহ্ণ

আউটার স্টেডিয়ামের সবুজ চাদরে ঢাকা মাঠে ফুটবল নিয়ে মেতে ওঠেছে একদল কিশোর। স্টিল স্ট্রাকচারে তৈরি গ্যালারিতে বসে দর্শকরা উপভোগ করছেন তাদের খেলা। উল্টো দিকেই তৈরি অত্যাধুনিক ৩টি প্রশিক্ষণ ক্রিকেট নেট। সেখানে রাতেও ফ্লড লাইটের ঝলমলে আলোয় ঘাম ঝরাচ্ছে আগামী দিনের আকরাম-নান্নু-তামিমরা।

 

দেশের ক্রীড়াঙ্গণের অনেক অর্জন-সাফল্যের স্বাক্ষী এমএ আজিজ স্টেডিয়াম এলাকার দুই পাশের এই দৃশ্য কল্পিত হলেও বাস্তবে রূপ পাচ্ছে দ্রতই। খ্যাতিমান স্থপতি আশিক ইমরানের নকশায় ও চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার (সিজেকেএস) অর্থায়নে নেওয়া প্রকল্পে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া হাব-এ পরিণত হতে যাচ্ছে ভেন্যুটি। যা নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন চট্টগ্রামের ক্রীড়াপ্রেমীরা।

 

বিসিএস ২৪তম ব্যাচের কর্মকর্তা আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই দীর্ঘদিন ‘অবহেলায়’ পড়ে থাকা স্টেডিয়াম এলাকা সংস্কারের উদ্যোগ নেন। তিনি আবার পদাধিকার বলে সিজেকেএস সভাপতি। বিপর্যস্ত আউটার স্টেডিয়ামের চারপাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে

 

২০২৩’র ২৯ সেপ্টেম্বর উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি।

নকশা অনুযায়ী- আউটার স্টেডিয়ামের চারপাশে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে, কাদা-মাটিতে ভরা মাঠটি সংষ্কার করে সবুজ ঘাসে ঢেকে দেওয়া, মুক্তমঞ্চের পাশে ১৫৩ ফুট দৈর্ঘ্যরে ২০০ দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন গ্যালারি ও ড্রেসিং রুম করা হচ্ছে। এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইটের স্তম্ভ সরানোর পর গ্যালারি, ড্রেসিং রুম ও নেট তৈরির কাজ শুরু হবে।

 

সূত্র জানায়, আউটার স্টেডিয়ামের আয়তন প্রায় ১১ হাজার বর্গফুট। এরমধ্যে ৮ হাজার বর্গফুট জুড়েই থাকবে ফুটবল খেলার মাঠ। যেখানে মূলত বয়সভিত্তিক খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হবে। থাকবে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি ও লিগ টুর্নামেন্ট। তবে প্রিমিয়ার বা ১ম বিভাগ ফুটবল আয়োজনের উপযুক্ত হচ্ছে না এই মাঠ। সর্বোচ্চ তৃতীয় বিভাগের খেলাধুলা হতে পারে। দ্রুত কাজ সম্পন্ন করে জুলাই-আগস্টের মধ্যে মাঠে খেলাধুলা শুরুর আশা করছে সিজেকেএস। এছাড়া বহুতল জিমনেশিয়াম ভবন নির্মাণ, সংলগ্ন প্রশিক্ষণ মাঠে দুটি টার্ফ স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ২০ হাজার বর্গফুটের টার্ফটি কেবল নারীদের জন্য এবং ৬ হাজার ৪৫০ স্কয়ার ফুটের টার্ফটি বিভিন্ন খেলাধুলার জন্য বরাদ্দ রাখা হবে। চট্টগ্রামে নারীদের খেলাধুলায় আরও এগিয়ে নিতে সিজেকেএস সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের নির্দেশেই নারীদের জন্য আলাদা এই টার্ফ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

 

জানতে চাইলে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান পূর্বকোণকে বলেন, চট্টগ্রামের খেলাধুলার ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনার সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে। এ লক্ষ্যেই আউটার স্টেডিয়ামে খেলাধুলার পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। সংস্কার কাজটি প্রত্যাশা মাফিক দ্রুতলয়ে ন

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট