চট্টগ্রাম শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

সন্দ্বীপে শৌচাগার কষ্টে ১০ হাজার যাত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা, সন্দ্বীপ

৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ | ১:০২ পূর্বাহ্ণ

সন্দ্বীপ যাত্রীদের জন্য শৌচাগার ব্যবস্থা না থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া নৌরুটের চলাচল করা যাত্রীরা। সন্দ্বীপ ভৌগোলিক কারণে মূল ভূখ- থেকে আলাদা। চারপাশে নদী বেষ্টিত দ্বীপের একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম নৌপথ। দ্বীপ থেকে প্রতিদিন প্রায় সাত থেকে দশ হাজার মানুষ চট্টগ্রাম আসা-যাওয়া করে। এদের চার থেকে আট হাজার যাত্রী কুমিরা গুপ্তছড়া রুট ব্যবহার করে। নৌ-যাতায়াতের প্রধান রুট হওয়ার পরেও সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া অংশে যাত্রীদের জন্য কোন শৌচাগার নেই। বেশিরভাগ সময় এই অংশে যাত্রীর অতিরিক্ত চাপ ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে যাত্রীদের তিন চার ঘণ্টা পর্যন্ত ঘাটে অপেক্ষা করতে হয়। ঘাটে দীর্ঘ সময় অপেক্ষারত অবস্থায় প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। জেলা পরিষদের মালিকানাধীন বিআইডব্লিউটিসির দুটি ঘাটে দুটি যাত্রী ছাউনি রয়েছে। এর একটি কুমিরায় দ্বিতল ছাউনিটি টিকিট কাউন্টার, যাত্রী বিশ্রামাগার, টয়লেট ও ব্রেস্ট ফিডিংয়ের ব্যবস্থাসহ চালু রয়েছে। অন্যটি সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া অংশের একতলা ছাউনিটি প্রায় দেড় বছর ধরে যাত্রীদের নাগালের বাইরে রয়েছে। এটি ঘাটের নির্মাণাধীন জেটির ঠিকাদারের লোকজনের বাসস্থান ও অফিস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এখানে তাই সাধারণ যাত্রী প্রবেশ করেন না। ছাউনির পাশে থাকা আরেকটি শৌচাগার দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। অন্যদিকে বেড়িবাঁধ থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে টিকিট কাউন্টার হওয়ায় সেখানে কোন

দোকানপাটেও কোন টয়লেট নেই। বিকল্প কোন ব্যবস্থা না থাকায় তাই সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের। অনেক সময় মহিলাসহ বয়ষ্ক যাত্রীদের প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দেয়ার জন্য ঘাট থেকে পুনরায় বাড়ি ফিরে যেতে হয়। ঘাটে নিয়মিত চলাচল করা উত্তর সন্দ্বীপ ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মিজানুর রহমান বলেন, গুপ্তছড়া ঘাটের মতো একটি জনবহুল রুটে টয়লেট না থাকা একটি দুঃখজনক বিষয়। অনেক পুরুষ বাধ্য হয়ে আদিযুগের মতো ঘাটের পাশের কেওড়া বাগানে জরুরি কাজ সাড়তে যাচ্ছে। কিন্তু শিশু, মহিলা ও বয়ষ্করা একটি শৌচাগারের অভাবে অনেক সময় লজ্জায় পড়ে যায়। ঘাট ইজারাদার ও মগধরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আনোয়ার হোসেন জানান, ঘাটে চলাচল করা যাত্রীদের সুবিধার জন্য বিআইডব্লিউটিসির দুটি যাত্রী ছাউনি ইজারা নিয়েছি। বর্তমানে সন্দ্বীপের অংশের ছাউনিটিতে জেটির অফিস হলেও যাত্রীদের জন্য টয়লেট, টিউবয়েল ও মসজিদ খোলা থাকে। তবে এরপরেও বিকল্প ব্যবস্থার উদ্যোগ নেয়া হবে।

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট