চট্টগ্রাম রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

সর্বশেষ:

প্রতি নৌকায় ২০ যাত্রী, ভাড়া ২০ টাকা করে নির্ধারণ

সুমন শাহ, আনোয়ারা

৯ মে, ২০২৩ | ১২:৪৫ অপরাহ্ণ

কর্ণফুলী নদী পারাপারে ভোগান্তির আরেক নাম ১৫ নং ঘাট। ঝুঁকি নিয়ে ইঞ্জিন চালিত বোটগুলো অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে পারাপার করে নদীতে। অন্য উপায় না থাকায় যাত্রীরাও চড়তে বাধ্য হন এসব বোটে। দু’পাড়ের মানুষের নদী পাড়ি দিয়ে যেতে হয় চট্টগ্রাম শহরে। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঘাটের ইজারাদাররা নেন বাড়তি ভাড়াও। তার ওপর বোটে বহন করে ধারণক্ষমতার বাইরে অতিরিক্ত যাত্রী। ফলে ঝুঁকি নিয়ে নদী পাড়ি দেন প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ। ঘাটে যাত্রীদের হয়রানি, বাড়তি ভাড়া আদায়, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইসহ নানান অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে গত রবিবার সরজমিনে ঘাটে পরিদর্শন করেছেন আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইশতিয়াক ইমন। পরে এসব বিষয় নিয়ে গতকাল (সোমবার) দুপুরে ঘাটের ইজারাদার ও সাম্পান মালিক সমিতির সাথে জরুরি বৈঠক করেন ইউএনও। বৈঠকে প্রতি নৌকায় ২০ জন যাত্রী, প্রতি যাত্রীর ভাড়া ২০ টাকা ও ঘাট ভাড়া ৩ টাকা করে নির্ধারণ করা হয়।

এসময় বৈঠকে বৈরাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নোয়াব আলী, ইউপি সদস্য ফরহাদসহ ইজারাদার ও মালিক সমিতির লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

ঘাট দিয়ে দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা, কর্ণফুলী, চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, বাঁশখালী, পটিয়াসহ কয়েকটি উপজেলার বিদেশযাত্রী, হজ যাত্রী, পশ্চিম অঞ্চলের শহরমুখী মানুষসহ মেরিন একাডেমি স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী, কাফকো, সিইউএফএল, কোরিয়ান কেইপিজেড, কর্ণফুলী টানেল ও বেসরকারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের হাজারো চাকরিজীবী প্রতিদিন নদী পারাপার করেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারাপারের জন্য ইঞ্জিনচালিত নৌকাগুলো চালিত হচ্ছে অদক্ষ চালক দিয়ে। নদীর এই ঘাট দিয়ে প্রতিদিন ছাত্র-ছাত্রী, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ নদী পার হয়ে থাকেন। নদীতে যখন পানি বাড়ে তখন ছোট নৌকা বা বোটে ৩০-৩৫ জন মানুষ নিয়ে নদী পার হওয়া যে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ তা না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন।

নদীর পাড়েও যাত্রী ওঠানামায় রয়েছে নানা সমস্যা। ঘাটে ইজারাদাররা মানুষের তুলনায় প্রয়োজনীয় নৌকা না রাখায় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয় সাধারণ যাত্রীদের। অন্য উপায় না থাকায় যাত্রীরাও চড়তে বাধ্য হন এসব বোটে। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঘাটের ইজারাদারা নেন বাড়তি ভাড়াও। তার ওপর বোটে বহন করে ধারণক্ষমতার বাইয়ে অতিরিক্ত যাত্রী। ফলে বিভিন্ন সময় ঘটে নৌকা ডুবিসহ নানান দুর্ঘটনা। বর্ষা মৌসুমেও ইঞ্জিনচালিত নৌকা দিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী পারাপার করলে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন যাত্রীরা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইশতিয়াক ইমন বলেন, ঘাটে যাত্রীদের হয়রানি, বাড়তিভাড়া আদায়, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইসহ নানান অভিযোগে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাড়া ও যাত্রী নির্ধারণ করে ইজারাদার ও সাম্পান মালিক সমিতিকে নিয়ে বৈঠক করা হয়। এতে নৌকায় ২০ জন যাত্রী, একজন যাত্রী ভাড়া ২০ টাকা ও ঘাট ভাড়া ৩ টাকা করে নির্ধারণ করা হয়।

পূর্বকোণ/এ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট