চট্টগ্রাম রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪

চট্টগ্রামে শিশু ধর্ষণের দায়ে সিএনজি চালকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০ জুলাই, ২০২২ | ৩:১৭ অপরাহ্ণ

চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের জোরারগঞ্জে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১০) ধর্ষণের দায়ে মো. একরামুল হক (৬২) নামে সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও তাকে ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মো. একরামুল হক হিঙ্গুলী ইউনিয়নের দক্ষিণ আজমনগর এলাকার মৃত ছাদিকের রহমানের ছেলে।

বুধবার (২০ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম ফেরদৌস আরার আদালত এ রায় দেন। রায়ের সময় ট্রাইব্যুনালে আসামি উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, শিশুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। তাকে প্রলোভন দেখিয়ে সিএনজি অটোরিকশাযোগে নিয়ে গিয়ে আচার ও চকলেট দিয়ে ধর্ষণ করেন একরামুল। ধর্ষণের বিষয়টি কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেন। ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিয়ে বাড়িতে আসার সময় বিকেলে সোয়া চারটার দিকে বাড়ির পাশে পাটিপাতা বাগানে তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে আবারও ধর্ষণ করে একরামুল। এ সময় স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা দেখলে একরামুল হক পালিয়ে যায়। পরে শিশুটি বাড়িতে গিয়ে ধর্ষণের বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানায়। সে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। ঘটনার ২ দিন পর ৭ আগস্ট জোরারগঞ্জ থানায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে মামলা করেন। আদালতে পুলিশ ২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর আদালত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। আদালতে ৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর পিপি খন্দকার আরিফুল আলম জানান, ৮ জনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে ১০ বছরের শিশুকে ধর্ষণ মামলায় মো.একরামুল হক নামের ওই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ৩ লাখ টাকা অর্থদণ্ড শিশুর পরিবারকে দিতে বলা হয়েছে। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।

পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট