চট্টগ্রাম বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে : ঘুরপাক খাচ্ছে ‘পাহাড়েই’

ইমরান বিন ছবুর

৯ জুলাই, ২০২১ | ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ

টাইগারপাসকে পাশ কাটিয়ে না টাইগারপাসের উপর দিয়েই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হবে, সেই উপযুক্ততা নিরসনের এগিয়ে আসছে না কেউ। এই ইস্যুটি নিয়ে ইতিমধ্যেই বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। টাইগারপাসের পাহাড় অক্ষুন্ন রেখে লালখান বাজার পর্যন্ত ফ্লাইওভার নির্মাণ করতে চায় সিডিএ।
অন্যদিকে, সিটি কর্পোরেশনের মেয়র চান টাইগারপাসের দৃষ্টিনন্দন পাহাড় অক্ষুন্ন রাখতে ফ্লাইওভারটি দেওয়ানহাট পর্যন্ত নির্মাণ করা হোক। এরমধ্যে নগরীর সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরাম নেতৃবৃন্দও সিটি কর্পোরেশনের মতামতের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছেন। কিন্তু, কোন মতটি রক্ষা করে ফ্লাইওভার নির্মাণ করলে নগরীর জন্য উপযুক্ত হবে, সার্বজনীন সেই সেই সিদ্ধান্ত নেয়ার কোন উদ্যোগ এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট পেশাজীবী সংগঠন, নগর পরিকল্পনাবিদসহ সুশীল সমাজকে নিয়ে একটি নাগরিক সংলাপ আয়োজনের তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
তবে ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী’ লালখান বাজার অংশে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারে সংযোগ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ।
অন্যদিকে, লালখান বাজারে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ না করতে প্রয়োজনে চট্টগ্রামবাসীকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন চসিক মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
সিডিএ’র ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে না জানিয়ে সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, গত ৮ জুন সিডিএ’র সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্ট চার সংস্থার সভায় পাহাড় অক্ষুন্ন রেখে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া, চট্টগ্রাম নগরীর যানজটের কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী নিজেই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের সাথে সংযোগ করার নিদের্শনা দিয়েছেন।
চসিকের পাঠানো চিঠির এখনো কোন উত্তর দেননি বলে জানিয়েছেন সিডিএ’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এম হাবিবুর রহমান। বর্তমানে যেহেতু লকডাউন চলছে, সবকিছু বন্ধ। লকডাউন শেষ হলে উর্ধ্বতনদের সাথে বসে আমরা চসিককে তাদের চিঠির উত্তর দিব।
জানতে চইলে সিডিএ’র প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, বিভিন্ন সংগঠনের নামে যারা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নকশা নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছে, তারা কি কোন প্রকল্পের ড্রয়িং-ডিজাইনের কাজ করেছে? বাংলাদেশের কোন প্রকল্প বাস্তবায়নে তাদের কোন ভূমিকা ছিল? এটা আসলে শুধুমাত্র বিরোধীতা করার জন্য বিরোধীতা করা। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন কি সিডিএ’র মত একটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পেরেছে?
সিডিএ’র এই প্রধান প্রকৌশলী আরো বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একই জায়গায় একাধিক ফ্লাইওভার রয়েছে। শুধুমাত্র নির্ধারিত এবং কম সময়ে যাতায়াতের জন্যই ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হয়। সর্বশেষ নকশা অনুযায়ী লালখান বাজার পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু লালখান বাজার পর্যন্ত ফ্লাইওভারটি নির্মাণে আপত্তি জানায় সিটি কর্পোরেশন।
আগামী ৩০-৪০ বছরের কথা ভেবে সিডিএ কাজ করছে উল্লেখ করে কাজী হাসান বিন শামস বলেন, দেওয়ানহাট পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা যেত, যদি লালখান বাজার পর্যন্ত আমাদের ৮-১০ লেইন করার সুযোগ থাকতো। এখন তো আমাদের সেই সুযোগ নেই। ১০ লেইন করতে গেলে পাহাড় কাটতে হবে। এখন আমরা পাহাড় অক্ষুন্ন রেখেই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করবো।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্ট চার সংস্থার সভায় পাহাড় ও স্থাপনা অক্ষুন্ন রেখেই টাইগারপাস থেকে লালখান বাজার অংশে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের সিদ্ধান হয়। প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের দেওয়া পাঁচটি প্রস্তাবনা থেকে সর্বসম্মতিক্রমে পাহাড় ও স্থাপনা অক্ষুন্ন রেখে একটি প্রস্তাবনাকে বাছাই করেছে সিডিএ। এরপর, ২১ জুন টাইগারপাস-লালখান বাজার অংশে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের আপত্তি জানিয়েছে সিডিএকে চিঠি দিয়েছে চসিক। ওই স্থানে ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হলে সড়কের উভয়পাশে দৃষ্টিনন্দন পাহাড় দু’টির প্রাকৃতিক দৃশ্য অবলোকন করা থেকে জনগণ বঞ্চিত হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
বিমানবন্দর কেন্দ্রিক যানজট নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। তিন হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যয়ে লালখান বাজার থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেকে অনুমোদন পায়। ২০১৯ বছরের ফেব্রুয়ারীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন।

 

প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাবো

এম রেজাউল করিম চৌধুরী, মেয়র, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন

 

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরাম, বৃহত্তর চট্টগ্রাম সংগ্রাম কমিটি ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন লালখান পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের বিরোধীতা করছে। সেখানে এই ফ্লাইওভারের আপত্তি জানিয়ে সংগঠনগুলো আমাদের চিঠিও দিয়েছে। দেওয়ানহাটে ফ্লাইওভার শেষ করার জন্য আমরা সিডিএ’কে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু সিডিএ কারও কোন চিঠির উত্তর দিচ্ছে না। তারা নিরব ভূমিকা পালন করছে।
তিনি আরো বলেন, ফ্লাইওভারের নামে চট্টগ্রামে পাহাড়ের সৌন্দর্য নষ্ট করার কোন মানে হয় না। চট্টগ্রাম তো শুধুমাত্র সিডিএ’র ইচ্ছেমত চলবে না। চট্টগ্রামের মানুষের মতামত নিয়েই তো চট্টগ্রাম চলবে। নগরীর মধ্যে লালখান বাজার থেকে টাইগারপাস পর্যন্ত সৌন্দর্যটা অন্যরকম। যা নগরীর অন্য কোথাও নেই। এছাড়া, লালখান বাজার পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ হলে সিআরবি’র সৌন্দর্যও নষ্ট হবে, যেহেতু সেদিকে র‌্যাম্প নামবে। চট্টগ্রামে তো স্থপতি, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি রয়েছেন। আমার প্রস্তাব ছিল সবাইকে নিয়ে বসার জন্য। কিন্তু সিডিএ এসবের কোন পাত্তাই দিচ্ছে না।
প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হবে জানিয়ে চসিক মেয়র বলেন, প্রধানমন্ত্রী তো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করতে বলেছে। কোন দিকে করতে হবে তার কোন নির্দেশনা দিয়েছে আমাদের জানা নেই। আর যদি লালখান পর্যন্ত নির্মাণের নির্দেশনা দিয়েই থাকে, তাহলে তা চট্টগ্রামবাসীকে সিডিএ সে নকশা দেখাক। লালখান বাজারে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ না করতে প্রয়োজনে চট্টগ্রামবাসীকে নিয়ে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাবো।

 

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হবে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী
এম জহিরুল আলম দোভাষ, চেয়ারম্যান, সিডিএ

 

সিডিএ চেয়ারম্যান এম জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, গত ৮ জুন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সম্মেলন কক্ষে সংশ্লিষ্ট চার সংস্থার সভায় পাহাড় অক্ষুন্ন রেখে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী এ বিষয়ে আপত্তি জানায় এবং দেওয়ানহাটে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে শেষ করার প্রস্তাব দেন। যা মোটেও বাস্তব সম্মত নয়। এ প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে সিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগও তাৎক্ষণিক আপত্তি জানায়। দেওয়ানহাট পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ হলে যানজট দীর্ঘ হবে এবং যানবাহন নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছিল ট্রাফিক বিভাগ।
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের সাথে সংযোগ করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নির্দেশনা রয়েছে জানিয়ে সিডিএ চেয়ারম্যান আরো বলেন, চট্টগ্রাম নগরীর যানজটের কথা মাথায় রেখে প্রধানমন্ত্রী নিজেই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের সাথে সংযোগ করার নিদের্শনা দিয়েছেন। এখন আমরা কি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবো নাকি অন্যদের কথা শুনবো? তাই কেউ যদি এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্ধারিত স্থানে নির্মাণের আপত্তি জানালেও আমাদের কাজ চালিয়ে যাবো।
বিশেষজ্ঞদের মতামতের প্রেক্ষিতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নকশা চুড়ান্ত করা হয়েছে জানিয়ে সিডিএ চেয়ারম্যান বলেন, প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানে বুয়েটের বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন। যারা বাংলাদেশের বিভিন্ন বড় বড় ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজে ছিলেন। প্রকল্পের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের দেওয়া পাঁচটি প্রস্তাবনা থেকে সর্বসম্মতিক্রমে পাহাড় ও স্থাপনা অক্ষুন্ন রেখে লালখান বাজার পর্যন্ত নির্মিত হবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।

 

সুফলভোগীদেরও মতামত নেয়া প্রয়োজন
প্রফেসর সিকান্দার খান, উপাচার্য, ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটি

 

ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ও পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের সভাপতি প্রফেসর সিকান্দার খান বলেন, ২৭ ফিট উচুতে যখন ফ্লাইওভার করা হবে, সাধারণ জনগণ কি আকাশের দিকে তাকিয়ে হাটবে? সবাইতো আর ফ্লাইওভার ব্যবহার করে না। আর যে কোন সরকারি প্রকল্প নেয়ার সময় প্রকল্পের সুফলভোগীদের কাছ থেকে সার্ভে করা হয়। সিডিএ কি এই প্রকল্প নিয়ে কোন সার্ভে করেছে। চট্টগ্রামের কত শতাংশ মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করবে এটাও একটা ভাবার বিষয়। জনসাধারণের মতামত ছাড়া প্রকল্প বাস্তাবায়ন সুফল বয়ে আনে না।
তিনি আরো বলেন, সিডিএ’র সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম তো বলতেন, আমাদের দেশে বড় বড় বিনিয়োগকারী আসবেন, তাদের দ্রুত সময়ে যাতায়াতের সুযোগ করে দিতে হবে। দেশের ৯৫ ভাগ মানুষের কথা না ভেবে শুধুমাত্র পাঁচ ভাগ মানুষের কথা ভেবে তো কাজ করলে হবে না। কোন প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় অবশ্যই মানুষের চাহিদা নির্ণয় করতে হবে। কার কতটুকু সুবিধা তা অবশ্যই চিহ্নিত করতে হবে।
ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যারয়ের উপাচার্য বলেন, সিডিএ যে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এলাইমেন্ট চুড়ান্ত করার সময় কোন নগর পরিকল্পাবিদকে ডেকেছে? যারা এ কাজে অভিজ্ঞ বা প্রকৌশল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেয় তাদের সাথে পরামর্শ করেছে? তাহলে এর শতভাগ সুফল কিভাবে পাওয়া যাবে।

 

টাইগারপাসের সৌন্দর্য নষ্ট করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নয়
সুভাষ বড়ুয়া, প্রকৌশলী

 

নগর পরিকল্পনাবিদ ও প্রকৌশলী সুভাষ বড়ুয়া বলেন, টাইগারপাস এলাকার নান্দনিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নষ্ট করে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করা যাবে না। দেওয়ানহাটে এই ফ্লাইওভার শেষ করা হলে পাহাড়ের সৌন্দর্য অক্ষুন্ন থাকবে। পাহাড় বিনষ্টকারী এই নির্মাণ পরিকল্পনা জনসাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। টাইগারপাসের সবুজ বেষ্ঠিত পাহাড়ী এলাকাকে এলিভেটেড এক্সপ্র্রেসওয়ের কংক্রিটের জঞ্জালে পেঁচিয়ে ফেললে নগরের চিরচেনা মানচিত্র পুরোপুরি চিরদিনের জন্য ধ্বংস প্রাপ্ত হবে।
তিনি আরো বলেন, কোন উন্নয়ন পরিকল্পনায় প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষা করা অত্যাবশ্যকীয়। উভয় পার্শে বাটালিহিল সমেত টাইগারপাসের মত সড়ক যে কোন নগরী এক অনন্য সম্পদ। এর নান্দনিক ও পরিবেশগত ঐশ্বর্য অক্ষত রাখার জন্য চট্টগ্রামের মহাপরিকল্পনায় এই এলাকাকে কৌশলগত উন্মুক্ত এলাকা হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

 

পূর্বকোণ/এসি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট