চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায় ‘বিসিক শিল্প নগরী রাউজান’ নামের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক)। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে যেখানে প্রায় সাড়ে সাত হাজার লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে রাউজান পৌরসভা সংলগ্ন ঢালার মুখে ৯৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয় বিসিক চট্টগ্রাম। বর্তমানে অর্থিকভাবে প্রকল্পের প্রায় ৩৭ শতাংশ এবং সার্বিকভাবে ১২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তবে করোনার কারণে প্রকল্পের অগ্রগতি কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন বিসিক চট্টগ্রামের উপ-মহাব্যবস্থাপক আহমেদ জামাল নাসের চৌধুরী।
বিসিক সূত্র জানায়, বিসিক শিল্প নগরী রাউজানে ৩৫ একর ভূমিতে মোট প্লটের সংখ্যা ১৮৪টি। সেখানে মোট শিল্প ইউনিটের সংখ্যা ১৪৮টি। এ প্রকল্পে ৬ হাজার বর্গফুটের ‘এ’ ক্যাটাগরির ৯০টি, ৫ হাজার ৪০০ বর্গফুটের ‘বি’ ক্যাটাগরির ৪২টি ও স্পেশাল বা ‘এস’ ক্যাটাগরির (৪-৫ হাজার বর্গফুট) ৫২টি প্লট তৈরি করা হবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন, অর্থনৈতিক উন্নতি দ্রুতগতি করা এবং জিডিপিতে অবদান বৃদ্ধি করাই এই প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এই শিল্প নগরীতে খাদ্য ও খাদ্যজাত, তৈরি পোশাক, রাবার, লেদার, কেমিক্যাল, প্যাকেজিং, বন ও বনজাত, কৃষি ও হালকা প্রকৌশল কারখানা গড়ে তোলা হবে। তবে উদ্যোক্তার প্রয়োজনে নতুন নতুন খাতও সৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানতে চাইলে বিসিক চট্টগ্রামের উপ-মহাব্যবস্থাপক আহমেদ জামাল নাসের চৌধুরী বলেন, রাউজানে বিসিক শিল্প এলাকার জন্য ৩৫ একর ভূমি অধিগ্রহণের কাজ ইতোমধ্যে শেষ। মোট জমির মধ্যে ১৭ একরের মাটি ভরাটের কাজ শেষ হয়েছে। শিল্প এলাকায় গ্যাস সংযোগ দেয়ার জন্য কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডকে তিনকোটি ৬০ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। বর্তমানে মাটি ভরাটের অবশিষ্ট কাজ, সীমানা প্রাচীর, খালের রিটেইনিং ওয়াল এবং প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ কাজের জন্য ইজিপিতে পাকপত্র আহ্বান করা হয়েছে। শীঘ্রই এসব কাজের কাজ শুরু হবে। এই প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ৯৩ কোটি টাকা ৬৬ লাখ টাকা।
কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, অর্থিকভাবে এই প্রকল্পের প্রায় ৩৭ শতাংশ এবং সার্বিকভাবে ১২ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। করোনার কারণে কাজের অগ্রগতি কিছুটা কম হয়েছে বলে দাবি এই বিসিকের এই কর্মকর্তার। ২০২২ সালের জুনে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে আশা করছি। করোনার কারণে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে না পারায় প্রকল্পে মেয়াদ আরো একবছর বৃদ্ধির জন্য আবেদন করা হয়েছে।
প্রকল্পে পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগের কথা উল্লেখ করে আহমেদ জামাল নাসের চৌধুরী বলেন, এই শিল্প নগরীর জন্য আমরা নিজেরা পানির ব্যবস্থা এবং পল্লী বিদ্যুৎ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়া হবে।
পূবকোণ/পিআর