চট্টগ্রাম বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

কক্সবাজারে আমান হত্যা: ৩৮ দিনেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার নেই

কক্সবাজার সংবাদদাতা

২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০ | ২:০৪ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের পিএমখালীর তোতকখালীতে আমান উল্লাহ হত্যাকান্ডের ৩৮ দিন পরও একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। হত্যা মামলায় এজাহার নামীয় চারজন আসামি প্রকাশ্যে ঘুরলেও তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। বরং আসামীদের সাথে সখ্যতা করে গ্রেপ্তার না করার অভিযোগ উঠেছে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কক্সবাজার সদর থানার এসআই মো. বেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে। তবে পুলিশ বলছে, এই বিষয়ে এখনো তদন্ত চলছে এবং আসামীরা পলাতক রয়েছে।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পিএমখালী ইউনিয়নের তোতকখালী সিকদার পাড়া এলাকাস্থ মামুনুল করিমের মালিকানাধীন কক্সবাজার হ্যাচারী এন্ড ফিশারিজ নামীয় মৎস্য প্রজেক্টে ইজারাদার জনৈক নুরুল হুদা কাজল ও সালাউদ্দিন এর অধীনে প্রজেক্ট ম্যানেজার হিসেবে খামারে চাকরি করে আসছিল আমান উল্লাহ (৩৫)। আমান উল্লাহ মহেশখালী শাপলাপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড জাহিদাঘোনা এলাকার বাসিন্দা। এই প্রজেক্টে বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসীরা গিয়ে হাঙ্গামা চালাতো এবং প্রভাব বিস্তার করত। এর ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের ১৬ আগস্ট রাত ৩ টার দিকে একদল সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র নিয়ে প্রজেক্টে ঢুকে আমান উল্লাহকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এমনকি তাকে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখমও করা হয়েছে। ঘটনার বিষয়টি পাশের খামারে অবস্থান করা লোকজন আঁচ করতে পারলে দ্রুত এগিয়ে এসে আমানকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলেও ডাক্তার চট্টগ্রাম মেডিকেলে রেফার করেন। একই দিন ১৬ আগস্ট রাত ১০ টার দিকে চট্টগ্রামে মারা যান আমান উল্লাহ।

এই ঘটনায় আমান উল্লাহ’র স্ত্রী রোকসানা আক্তার বাদি হয়ে ১৮ আগস্ট কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- পিএমখালী তোতকখালী ডেহেরিয়া এলাকার অলি আহমদের ছেলে নিশাত নুর আকাশ (২৬), তোতকখালী ছতের কাটা এলাকার মো. মামুনের ছেলে মো. আপেল (২০), আব্দুর রহমানের ছেলে আলা উদ্দিন (২৭) ও মো. ইদ্রিসের ছেলে রমজান আলী (২৩)। মামলায় অজ্ঞাতনামা রয়েছে ৫/৬ জন। এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হলেন কক্সবাজার সদর থানার এসআই মো. বেলাল উদ্দিন।

অভিযোগ উঠেছে, মামলা দায়েরের ৩৮ দিন পার হলেও একজন আসামিকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। বরং একটি পক্ষ থেকে সুবিধা নিয়ে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। বিভিন্ন তদন্তের কথা বলে আসামি ধরছে না পুলিশ। আসামিদের সাথে এসআই বেলালের সম্পর্কও রয়েছে বেশ।

মামলার বাদি রোকসানা আক্তার বলেন, এতো দিন পার হলেও একজন আসামিকেও আটক করতে পারেনি পুলিশ। অথচ তার সবাই কক্সবাজারে প্রকাশ্যে ঘুরছে।
তিনি বলেন, আমি মহিলা মানুষ। তিনজন ছোট ছোট মেয়ে আছে। তেমন কিছু চিনিও না। শুনছি আমার স্বামীর হত্যাকারী আসামিরা প্রকাশ্যে কক্সবাজারে ঘুরছে।

এবিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. বেলাল উদ্দিন বলেন, আসামিরা পলাতক থাকায় একজনকেও গ্রেপ্তার করা যায়নি। তাদের বিষয়ে তদন্তও চলছে আবার গ্রেপ্তারের চেষ্টাও চলছে। বেশ কয়েকবার অভিযানও চালানো হয়েছিল কিন্তু তাদের পাওয়া যায়নি।

আসামিদের সাথে সখ্যতার বিষয়ে তিনি বলেন, শুনেছি আমার নাম ব্যবহার করে একটি পক্ষ আসামিদের কাছ থেকে সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করছে। তাদের বিষয়ে আমি খোঁজ নিচ্ছি। তবে আসামিদের সাথে আমার কোনো যোগাযোগ নেই।

পূর্বকোণ/আরফাতুল-এএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট