চট্টগ্রাম রবিবার, ২০ জুলাই, ২০২৫

সর্বশেষ:

মিরসরাইয়ে টানা বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢলে ডুবে গেছে মহাসড়ক
মিরসরাইয়ে টানা বৃষ্টিতে ডুবে গেছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

মিরসরাইয়ে টানা বৃষ্টি, পাহাড়ি ঢলে ডুবে গেছে মহাসড়ক

সাদমান রহমান সময়, মিরসরাই

২০ জুন, ২০২৫ | ১১:১৫ পূর্বাহ্ণ

মিরসরাইয়ে গত কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে নিম্নাঞ্চল ডুবে যাওয়ার পাশাপাশি দেশের লাইফ লাইনখ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাইয়ে অংশ ডুবে গেছে পানিতে। মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী অংশের সোনাপাহাড় এলাকায় প্রায় ৩শ মিটার গতকাল ভোর থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত পানিতে ডুবে ছিলো। টানা বৃষ্টিতে মহাসড়কের মিরসরাইয়ের ২৯ কিলোমিটার অংশের বিভিন্ন পয়েন্টে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।

 

জানা গেছে, মহাসড়কের সোনাপাহাড় এলাকায় চট্টগ্রামমুখী অংশের পাশ দিয়ে গ্যাস লাইনের পাইপ স্থাপন শেষে বিভিন্ন অংশে মাটির স্তূপ থাকা এবং সওজের জায়গায় দখল করে আরশিরনগর ফিউচার পার্ক স্থাপনের ফলে পানি চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে ভারী বর্ষণ হলেই মহাসড়কের ওই অংশে পানি জমে যায়। বুধবার ও বৃহস্পতিবার টানা দুই দিনের বৃষ্টিতে মহাসড়কে প্রায় দেড় ফুট পানি জমে যায়। গতবছরও মহাসড়কের এই অংশ পানিতে ডুবে গিয়েছিলো। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত মহাসড়কে পানি জমে ছিলো। এছাড়া টানা বৃষ্টিতে মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কে সৃষ্ট হওয়া গর্তে ইট বসানো হলেও তা গাড়ির চাকায় মুহূর্তে পিষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মহাসড়কে জলমগ্ন হওয়া ও সৃষ্ট গর্তে গাড়ি চলাচল করছে অত্যন্ত ধীরগতিতে।

 

বারইয়ারহাট থেকে মিরসরাই আসা এম আনোয়ার হোসেন বলেন, মহাসড়কের সোনাপাহাড় এলাকায় পানি জমে যাওয়া ও সৃষ্ট গর্তে গাড়ি চলাচল ছিলো অত্যন্ত ধীরগতির। এতে করে মহাসড়কে জ্যাম সৃষ্টি হয়।

 

স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ সাকিব বলেন, অপরিকল্পিতভাবে কৃষিজমিতে শিল্পকারখানা গড়ে ওঠায় পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। তাই একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। টানা চারদিনের ভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঢলের সৃষ্টি হয়েছে। পাহাড়ি ঢলের পানি যেতে না পারায় মহাসড়কে পানি উঠে গেছে।

 

চট্টগ্রামমুখী চয়েস পরিবহন সার্ভিসের কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, বারইয়ারহাট থেকে বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টায় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছি। সোনাপাহাড় এলাকায় ডুবে থাকা সড়ক পাড়ি দিয়ে মিরসরাই পৌঁছাতে ২০ মিনিটের পথ আসতে সময় লেগেছে প্রায় ১ ঘণ্টা।

 

জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, সোনাপাহাড় এলাকায় সড়কে পানি ওঠায় যানবাহনগুলো একটু ধীর গতিতে চলছে। পানি নেমে যাওয়ার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

 

সড়ক ও জনপদ (সওজ) চট্টগ্রামের সড়ক উপ-বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফারহান বলেন, সোনাপাহাড় অংশে মহাসড়কে জমে যাওয়া পানি অপসারণ ও পানি চলাচলের পথ স্বাভাবিক করতে কাজ শুরু করা হয়েছে। এছাড়া টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে মহাসড়কের সৃষ্ট গর্তে ইট বসানো হয়েছে। বৃষ্টি বন্ধ হলে স্থায়ীভাবে কাজ করা হবে।

 

পূর্বকোণ/ইবনুর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট