কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের বাদামতল এলাকা। কর্ণফুলী উপজেলায় রয়েছে বেশ কয়েকটি খাল। তবুও সামান্য বৃষ্টিতেই সড়কে হয় হাঁটুজল, সৃষ্টি হয় জলবদ্ধতা। এতে করে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারী পথচারীসহ হাজারো গ্রামবাসীকে। খাল ভরাট ও পানি নিষ্কাশনের জন্য পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় প্রতি বর্ষায় এমন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, নদীর তীরে থেকে ২০০ ফুট দূরত্বে সমান্তরালে পুরাতন ব্রিজঘাট-পূর্বপাড়া সড়ক। সড়কটি কর্ণফুলীর চরপাথরঘাটার প্রধান সড়ক। এ সড়কের পাশে দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাদ্রাসা ও কয়েকটি মসজিদ রয়েছে। কিন্তু পানি নিষ্কাশনের জন্য নেই কোন পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা। ফলে সামান্য বৃষ্টি নামলে চরপাথরঘাটা মাদ্রাসাপাড়া-বাদামতল অংশ পর্যন্ত প্রায় হাজার ফুট সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় আব্দুল করিম বলেন, এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন পাঁচ হাজারের বেশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ চলাচল করেন। কয়েক বছর ধরে জনবহুল এ সড়কের এমন বেহাল অবস্থা হলেও পানি নিষ্কাশনের জন্য পরিকল্পিতভাবে নালা নির্মাণের কোন উদ্যোগ চোখে পড়েনি। ফলে বর্ষা মৌসুমে প্রতিবছর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারীদের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, বাদামতল এলাকাটি বেশ ঘনবসতিপূর্ণ। লোকজন বাড়িঘর নির্মাণের সময় পানি চলাচলে ড্রেনেজ ব্যবস্থার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা খালি রাখেনি। এছাড়া খালগুলোও যত্রতত্র ভরাট করে সংকুচিত করে ফেলেছে প্রভাবশালীরা। ফলে সামান্য বৃষ্টিতে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।
স্থানীয় বাসিন্দা আজগর আলী জানান, টানা কয়েকদিন বৃষ্টি হলে এখানকার বাসিন্দাদের অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ঘর থেকে বের হওয়া দায় হয়ে পড়ে। রোদে পানি না শুকানো পর্যন্ত জলাবদ্ধতা থাকে। এ সময় অনেকে বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দেন।
চরপাথরঘাটা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. ফরিদ জুয়েল বলেন, পানি নিষ্কাশনের জন্য পাইপলাইন রয়েছে। সেগুলো ময়লায় জ্যাম হয়ে যাওয়ার কারণে জলাবদ্ধতা চরম আকার ধারণ করেছে। তবে স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা নিরসনে দরকার পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা। উপজেলা পরিষদের সহায়তা পেলে আমরা জলাবদ্ধতার অভিশাপ থেকে মুক্ত হতে পারবো।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চরপাথরঘাটা ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান আবু তাহের দৈনিক পূর্বকোণকে বলেন, জলাবদ্ধতার বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে উপজেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বিতভাবে উদ্যোগ নেয়া হবে।
পূর্বকোণ/ইবনুর