টেকনাফে শিশু ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিকেলে সর্বস্তরের ছাত্র-জনতার ব্যানারে শামলাপুর বাজারে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য দেন ছাত্র প্রতিনিধি মোর্শেদ আলম, রবিউল আলম মামুন, নুর মোহাম্মদ এবং ধর্ষিতার পিতা মমতাজ আহমদ। টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকায় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে পিতার বাল্যকালের বন্ধুর ধর্ষণের শিকার হয়েছিল ১২ বছরের এক শিশু। এতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে ১৪ জুন কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ভিকটিম শিশুকে।
শুক্রবার (১৩ জুন) জাহাজপুরা নিজ বাড়িতে ধর্ষণের শিকার হয় শিশুটি। অভিযুক্ত ধর্ষক স্থানীয় জাহাজপুরা একই এলাকায় অলী আহমদের ছেলে দিল মোহাম্মদ দিলু (৩২)।
ভিকটিমের মা জানান, দিলু এবং মেয়ের বাবা বাল্যকালের বন্ধু। এই বন্ধুত্বের সম্পর্কের কারণে নিয়মিত যাতায়ত ছিল দিলুর। শুক্রবার বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে শিশু তার লালসার শিকার হয়। এতে রক্তাক্ত হলেও মেরে ফেলার ভয়ে পেটের ব্যথা ও রক্তাক্ত কাপড়ে থাকলেও এ ঘটনা বাপ-মা কাউকে জানানোর সাহস করেনি। একদিন পর শনিবার ১৪ জুন ওয়াশরুম সেরে বাহির থেকে বাড়ি ঢুকার সময় পেটে হাত দিয়ে চেপে ধরার দৃশ্য চোখে পড়লে পিরিয়ড চলছে নাকি জিজ্ঞেস করলে কিছু না বলে রুমে চলে যায়। এতে সন্দেহ হলে ভয় দেখিয়ে জিজ্ঞেস করলে সব ঘটনা খুলে বলে।
ভিকটিমের পিতা মমতাজ আহমদ বলেন, অভিযুক্ত দিল মোহাম্মদ দিলু আমার বাল্যকালের বন্ধু, বাড়িতে নিয়মিত আসত। শুক্রবার বাড়িতে স্ত্রী ও আমি না থাকার সুযোগে মেয়েকে ধর্ষণ করে যাওয়ার সময় এ ঘটনা কাউকে জানালে মা-বাবা ও শিশু কন্যাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে যায়। তাই মেয়ে এই ঘটনা কাউকে বলেনি। পরে তার শরীরের অবস্থা খারাপ দেখলে মা জিজ্ঞেস করে পিরিয়ড হয়েছে কিনা ? এতে চুপচাপ থাকে, তখন মা তার কাপড় রক্তাক্ত দেখলে বুঝতে পারে কিছু একটা ঘটছে। পরে মাকে কান্না করতে করতে সবকিছুই বলে দেয়। এ ঘটনার পর পুরো এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি এবং সর্বসাধারণ ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠলেও ধর্ষক পালিয়ে যাওয়ায় আটক করা সম্ভব হয়নি।
টেকনাফের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শোভন কুমার সাহা বলেন, এ বিষয়ে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ১৫ জুন টেকনাফ মডেল থানায় মামলা করেছেন। ধর্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
পূর্বকোণ/কাশেম/জেইউ/পারভেজ