চট্টগ্রামের সন্দ্বীপগামী একটি স্পিডবোটে তেল শেষ হয়ে যাওয়ায় মাঝনদীতে চরম বিপদের মুখে পড়েন যাত্রীরা।
সোমবার (১৬ জুন) দুপুরে কুমিরা ঘাটের প্রায় এক কিলোমিটার আগে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও যাত্রীদের ভাষ্যমতে, ‘মেরিন সার্ভিস’ নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সকাল থেকেই নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ থাকার পরও যাত্রী পারাপার অব্যাহত রাখে। দুপুরে তাদের একটি স্পিডবোট ৭–৮ জন যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে সন্দ্বীপ ঘাট থেকে রওনা দেয়। যাত্রাপথে তেলের ঘাটতি দেখা দিলে স্পিডবোটটি মাঝনদীতে ভেসে থাকে।
দ্রুত গতির ঢেউয়ে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। যাত্রী ফুয়াদ জানান, আমরা দেখি স্পিডবোটটা হঠাৎ থেমে গেছে। ড্রাইভার কিছু না বলে বসে আছে। পরে ঢেউয়ে ঢেউয়ে কূলে আসি। আমরা জীবনের মায়া ছেড়ে দিয়েছিলাম।
স্থানীয়রা জানান, নদীপথের ঝুঁকি ও আবহাওয়ার বৈরিতা সত্ত্বেও মেরিন সার্ভিস যাত্রীদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করেই বেপরোয়াভাবে যাত্রা পরিচালনা করে আসছে।
একজন অভিভাবক যাত্রী বলেন, এভাবে চললে বড় দুর্ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। আজকে বেঁচে ফিরেছি, কিন্তু এটা কি নিয়মিত চলবে?
তবে বিষয়টি অস্বীকার করেছেন মেরিন সার্ভিস কর্তৃপক্ষের দায়িত্বশীল মিলাদ আব্বাস। তিনি বলেন, এমন ঘটনা ঘটেনি।বোট কূলে ভিড়ার পর নামার সময় একজন যাত্রী আহত হন।
প্রসঙ্গত,২০২২ সালের ২০ এপ্রিল, বুধবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে, চট্টগ্রামের কুমিরা ঘাট থেকে সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাটের উদ্দেশ্যে যাত্রারত একটি স্পিডবোট ঘূর্ণিঝড় ও প্রবল বাতাসে ডুবে যায়।
স্পিডবোটটিতে মোট আনুমানিক ২০–২২ জন যাত্রী ছিলেন।ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে ১৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়।দুর্ঘটনায় ৩-৪জন যাত্রী নিহত হয়েছিল।
পূর্বকোণ/জেইউ