বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সংগঠনের দায়িত্বশীল হিসেবে বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। তাদের সমস্যাসমূহ আন্তরিকতার সাথে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। এমন আস্থা অর্জন করতে হবে, মানুষ যেন কোনো সমস্যায় পড়লে সর্বপ্রথম জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের কাছে ছুটে আসে। আমরা যদি সুখে-দুঃখে সবসময় মানুষের পাশে থাকতে পারি, তাহলেই এমন আস্থা অর্জন করা সম্ভব এবং দ্বীনের যাবতীয় কাজগুলো খালেছ নিয়তে সম্পাদন করতে হবে।
শুক্রবার (১৩ জুন) রাতে দেওয়ান বাজারস্থ চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের কার্যালয় (বিআইএ) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের আমির আলাউদ্দিন সিকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দায়িত্বশীল সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবুল হাসনাত মুহাম্মদ আব্দুল হালিম ও মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান।
উক্ত দায়িত্বশীল সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও চট্টগ্রাম অঞ্চল জামায়াতের টিম সদস্য অধ্যাপক আহসান উল্লাহ ভুঁইয়া, চট্টগ্রাম অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরী, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আব্দুল জব্বার, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক ফজলুল করিম, সাংগঠনিক সেক্রেটারি আনোয়ার ছিদ্দিক চৌধুরী, কর্মপরিষদ সদস্য ড. আব্দুল হামিদ চৌধুরী, মাস্টার নুরুচ্ছালাম, আব্দুল কুদ্দুস, অধ্যাপক মাওলানা বোরহান উদ্দিন, ইউসুফ বিন আবু বক্কর, রফিকুল ইসলাম, জসিমুদ্দীন আজাদ, মাওলানা মহিউদ্দিন প্রমুখ।
ইসলামী জ্ঞান অর্জনের প্রতি গুরুত্বারোপ করে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, কুরআন-হাদীসের জ্ঞান ছাড়া দাওয়াতি কাজ করলে ফিতনার সৃষ্টি হতে পারে। তাই আমাদেরকে গভীরভাবে কুরআন-হাদীস অধ্যয়ন করতে হবে। দুনিয়াতে আমরা যে কাজই করি না কেন, তা যেন হয় একমাত্র আল্লাহর রেজামন্দি হাসিলের জন্য। সর্বাবস্থায় মনে রাখতে হবে- আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ছাড়া আমরা কখনই সফল হতে পারব না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আব্দুল হালিম বলেন, জামায়াতের প্রতি মানুষের প্রত্যাশা বেড়েছে, এই প্রত্যাশা পূরণে আমাদেরকে দায়িত্বশীলের ভূমিকা নিতে হবে। দেশ গড়ার প্রত্যয়ে বৃহৎ পরিসরে অংশগ্রহণ করতে হবে। মানুষকে ভালোবাসা ও কাছে টেনে নেওয়ার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে, জামায়াত কর্মীদেরকেই দেশ গড়ার গুরু দায়িত্ব নিতে হবে। মানুষের আস্থা ও বিশ্বাসের মর্যাদা রক্ষা করার প্রতি মনোযোগী হতে হবে। চারিত্রিক সততা উন্নয়নের জন্য ক্রমাগত চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আল্লাহর সাহায্য লাভের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ