হাটহাজারী উপজেলার নাঙ্গলমোড়া বাজারের পাশে হালদা নদীর উপর (বহরম মাঝির ঘাট) বাঁশের সাঁকোটি হালদা নদীর প্রবল পানির স্রোতে ভেঙে তলিয়ে যায়। সাঁকোটি ভেঙে যাওয়ায় তিন উপজেলার উভয় দিকের জনগণ ও শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার লোকজনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। যদিও বা প্রবল স্রোতের মধ্যে ছোট একটি ডিঙ্গি নৌকার মাধ্যমে অল্প সংখ্যক মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিশেষ প্রয়োজনে পারাপার করছে। সাঁকোটি না থাকায় এতে বাড়ছে ঝুঁকি ও দুর্ভোগ।
জানা যায়, আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলার নাঙ্গলমোড়া বাজারের পাশে হালদা নদী হয়ে নৌকা দিয়ে পার হয় উভয় দিকের মানুষ। বিগত প্রায় ১৬/১৭ বছর থেকে স্থানীয়দের উদ্যোগে হালদা নদীর উপর ছয় সাত মাসের জন্য একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়। যাতে রাউজান ও ফটিকছড়ি উপজেলার কোমলমতি শিক্ষার্থী ও বৃদ্ধ লোকসহ অন্য শ্রেণির মানুষ সহজে সাঁকো পার হতে পারে। নদীর উপর একটি সেতু না থাকায় পথচারীদের ভোগান্তি চরমে। শুধু তাই নয়, ৫০ বছরে সেতু না হওয়ায় দুই উপজেলার উন্নয়নের ছোঁয়া পড়েনি।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, হালদা নদীর উপর ১১০ মিটার নির্মিত সাঁকোটি গত রবিবার প্রবল বর্ষণের কারণে ভেঙ্গে ভেসে যায়। স্থানীয় মোহম্মদ বদিউল আলম বলেন, দীর্ঘ ৫০ বছর থেকে একটি ব্রিজের জন্য ৩ উপজেলার হাজার হাজার মানুষ দাবি জানিয়ে আসলেও ব্রিজের মুখ দেখিনি তিন উপজেলার জনসাধারণ। তিনি বলেন, বছরের ছয় সাত মাস নদীর উপর তৈরি করা সাঁকো দিয়ে চলাচল করে সহজেই। বর্ষা আসলে সাঁকোটি তলিয়ে যায়। এতে দুর্ভোগে পড়তে হয় তিন উপজেলার জনসাধারণকে।
স্থানীয় মো. টিপু সুলতান ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, গত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ১২,৫৭৯ কোটি টাকার ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। এর আগে অন্তর্বর্তী সরকার দু’বার একনেক বৈঠক আয়োজন করে বেশ কিছু প্রকল্প অনুমোদন করেছিল। তবে দুঃখজনকভাবে হাটহাজারীর ঐতিহ্যবাহী নাঙ্গলমোড়া বাজারসংলগ্ন হালদা নদীর ওপর সেতু সমস্যার সমাধান হয়নি।
তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ও সরকারের উপদেষ্টাদের কাছে নাঙ্গলমোড়া হালদা নদীর বহরম মাঝির ঘাটে একটি সেতু নির্মাণের অনুমোদন দেওয়ার আহ্বান জানান। এতে এ অঞ্চলের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান ঘটবে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে উল্লেখ করেন।
পূর্বকোণ/ইবনুর