টানা বৃষ্টিপাতের ফলে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির সবকটি নদী ও খালের পানি বর্তমানে বিপৎসীমা ছুই ছুঁই। রবিবার (১ জুন) বিকেল তিনটায় সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায় সবকটি নদী ও খালের পানি বর্তমান অবস্থা থেকে পানি আরো বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। চলমান বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে ফটিকছড়িতে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
ইতোমধ্যে উপজেলার সমিতিরহাট, জাফতনগর, পশ্চিম নানুপুর, মাইজভাণ্ডার শরীফের পশ্চিম পাশ, রোসাংগিরি, সুন্দরপুর, উত্তরের নারায়ণহাট, পাইন্দং ইউপি এলাকা, বাগানবাজার ইউপির উত্তরাংশ প্রভৃতি এলাকার নিম্মাঞ্চল জলমগ্ন হয়ে গেছে। নারায়ণহাট বাজারের উত্তর পাশে ফটিকছড়ি হেয়াকো সড়কের উপর পানি উঠে যাওয়ায় ওই সড়ক দিয়ে বর্তমানে ঝুঁকি নিয়ে যানচলাচল করছে বলে ওই এলাকার ইউপি সদস্য আলতাফ হোসেন জানিয়েছেন।
এসব এলাকার সাধারণ মানুষ কার্যত পানিবন্দী হয়ে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেই সাথে ফটিকছড়ির বিভিন্ন এলাকায় শত শত মাছের ঘের মালিক বন্যার আশঙ্কায় রয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া আসন্ন কোরবানির পশু নিয়ে ক্রেতা বিক্রেতারা টানা বৃষ্টি এবং সম্ভাব্য বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি বিজ্ঞান শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী আরিফা নাসরিন বলেন, হালদা নদীর নারায়ণহাট পয়েন্টে বিপৎসীমার কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকলে তা রাতের মধ্যেই বিপৎসীমা অতিক্রম করবে বলে তিনি জানান।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সোহাগ তালুকদার সম্ভাব্য বন্যা মোকাবেলায় তারা যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন বলে জানান। এদিকে হালদা ভ্যালী চা বাগানের ব্যবস্থাপক মহসীন হোসেন বলেছেন, গত ২৪ ঘন্টায় ফটিকছড়িতে ৮.২ ইঞ্চি বা ২০০.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে সম্ভাব্য বন্য মোকাবেলার ব্যাপারে ফটিকছড়ি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু নাছের বলেন, পর্যাপ্ত চালসহ বন্যা মোকাবেলার সার্বিক প্রস্তুতি তাদের রয়েছে।
পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ