আরাকান আর্মিকে কর না দেওয়ায় দেড় মাস ধরে টেকনাফ স্থলবন্দরে মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধ রয়েছে পণ্য আমদানি-রপ্তানি। দেশটির বিচ্ছিন্নবাদী সংগঠন আরাকান আর্মি পণ্য আমদানি-রপ্তানিতে কর দাবি করছে। কর না পেয়ে পণ্য পরিবহনে বাধা দিচ্ছে তারা।
জানা গেছে, মিয়ানমার জান্তা বাহিনীর কাছ থেকে রাখাইন রাজ্য আরাকান আর্মি দখলে নেওয়ার পর থেকে প্রতিনিয়ত এমন সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এর আগেও একাধিকবার পণ্যবাহী জাহাজ টেকনাফ বন্দরে আসার পথে নাফ নদীর মাঝপথে আরাকান আর্মি আটকে দেয়। বাধার কারণে টেকনাফ স্থলবন্দরে মিয়ানমারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এপারের আমদানিকারকদের ব্যবসার ধস নেমেছে। মিয়ানমারে রপ্তানির জন্য কোটি টাকার মালামাল টেকনাফ স্থলবন্দরের গুদামে পড়ে রয়েছে। মিয়ানমারেরও এপারের আমদানিকারকদের বিভিন্ন পণ্য থেকে গেছে।
বুধবার (২৮ মে) টেকনাফ স্থলবন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এহেতাশামুল হক বাহদুর বলেন, মিয়ানমার থেকে পণ্য আমদানি ও টেকনাফ থেকে রপ্তানি করতে হলে আরাকান আর্মি ট্যাক্স দাবি করে। আমরা বৈধভাবে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করছি। মিয়ানমার সরকারকে ট্যাক্স দিচ্ছি। তাহলে আবার কীভাবে আরাকান আর্মিকে ট্যাক্স দেব? মিয়ানমারের ব্যবসায়ীরা পণ্য পাঠাতে সব সময় রাজি। আমরাও চেষ্টা করছি কীভাবে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা যায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও জেলা প্রশাসকসহ সবাইকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। দেড় মাস ধরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধের কারণে মিয়ানমারে রপ্তানি করার জন্য আনা সিমেন্ট, আলুসহ আরও কয়েক ধরনের প্রায় কোটি টাকার পণ্য টেকনাফ বন্দরের গুদামে পড়ে আছে।
টেকনাফ স্থলবন্দরের মহাব্যবস্থাপক জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, গত ১২ এপ্রিল থেকে টেকনাফ বন্দরে মিয়ানমারের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ। এতে একদিকে ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, অপরদিকে সরকারও কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। আমদানিকারকদের পণ্য রপ্তানি করতে না পেরে সেগুলো বন্দরের গুদামে জমা রয়ে গেছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহেসান উদ্দিন বলেন, বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধের বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। এটি রাষ্ট্রীয়ভাবে সমাধান হতে হবে। রাষ্ট্রীয়ভাবে যে সিদ্ধান্ত আসবে সেভাবে হবে। আমরা বন্দরের সম্যসাগুলো বিষয়ে অবগত আছি।
পূর্বকোণ/কাশেম/জেইউ/পারভেজ