ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ প্রকাশ করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে আহবান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধ রয়েছি, আমাদেরকে কোন বিদেশি শক্তি ও দেশীয় ষড়যন্ত্র বিভক্ত করতে পারবে না।
সোমবার (২৬ মে) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে চট্টগ্রামে হাটহাজারী পৌরসভার ডাকবাংলা চত্বর এলাকায় পথসভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নানাভাবে বিভিন্ন কুচক্রিমহল দেশি বিদেশি ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে। আমরা সরকারকে আশ্বস্ত করতে চাই, ধর্মীয় কার্ড খেলে, উগ্রবাদীর ট্যাগ দিয়ে আমাদেরকে আর বিভাজিত করা যাবে না। এই বাংলাদেশে ভারত থেকে প্রেসক্রিপশন দিয়ে আর জঙ্গি নাটক সাজানো যাবে না।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তিনি বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বর হত্যাকাণ্ড ও মুদি বিরোধী আন্দোলনে যেসব হত্যাকাণ্ড হয়েছে সেসব হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুততম সময়ের মধ্যে শুরু করুন। একই সাথে হাসিনা হয়ে ওঠার যে সংবিধান রয়েছে, এই আওয়ামী বিধানকে ছুড়ে ফেলে দিয়ে মানুষের জনআকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের নতুন সংবিধান প্রণয়ন করুন।
২০১৩ সালে হাসিনা যখন নির্যাতন ও নিপীড়ন করতো তখন হাটহাজারী সবচাইতে বেশি সরব থেকেছে এমনটা জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশে বুদ্ধিজীবী বলতে যাদেরকে বুঝায় সেগুলোর তালিকায় কোন দাড়ি-টুপিওয়ালা ভাইয়েরা নেই। আমরা এই সরকারের কাছে বলতে চাই, আমাদের জনগোষ্ঠীর একটা উল্লেখযোগ্য সংখ্যক এই ধর্মপ্রাণ জনগোষ্ঠীকে দ্বিতীয় শ্রেণীর বিবেচনা করে আপনারা বাংলাদেশ পুনর্গঠন করতে পারবেন না। যদি বাংলাদেশকে পুনর্গঠন করতে চান তাহলে আমাদের এই ধর্মপ্রাণ ভাইদেরকে মেন স্ট্রিমে নিয়ে আসতে হবে।
এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ইমন সৈয়দের সঞ্চালনায় উক্ত পথসভায় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব মীর আরশাদুল হক, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আলম মিতু, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক মো. আতাউল্লাহ, সংগঠক আরমান হোসাইন, আজিজুর রহমান রিজভী প্রমুখ।
পূর্বকোণ/খোরশেদ/জেইউ/পারভেজ