বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে সশস্ত্র হামলা ও লুটের ঘটনায় ২০ ঘণ্টা পার হলেও এখনও খোঁজ মেলেনি ‘অপহৃত’ ম্যানেজারের। অপহৃত ম্যানেজারের ভাই ও চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার এসআই মিজান বলেন, ‘আমার ভাইয়ের এখনো কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। আমরা পরিবারের সদস্যরা চরম উদ্বিগ্ন অবস্থায় আছি।’
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে ৫০ থেকে ৬০ জনের একটি সশস্ত্র দল ব্যাংকটির শাখায় একযোগে হামলা চালায়। এ সময় ব্যাংকের কর্মকর্তা, নিরাপত্তা রক্ষীসহ অন্তত ২০ জনকে মারধর করা হয়। অপহরণ করা হয় এ শাখার ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিনকে।
বুধবার (৩ এপ্রিল) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন, পুলিশের চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান, সোনালী ব্যাংক চট্টগ্রাম বিভাগের জিএম ও মুসা খান।
ঘটনার সঙ্গে পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের জড়িতের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, নানা ইঙ্গিতে নামগুলো উঠে আসছে। তবে তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি জানানো হবে।
জেলা পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন বলেন, হামলাকারীরা ব্যাংকের আইনশৃংখলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্য, আনসার সদস্যের অস্ত্র ও গুলিও লুট করেছে। ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা জড়িত সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। ক্রাইম সিন টিম আসছে। সিসি টিভি ফুটেজ দেখে কিছুটা অনুমান করা যায়। বাকিটা তদন্ত সাপেক্ষে নিশ্চিত হওয়া যাবে। যারাই এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকুক তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) তারাবির নামাজ চলাকালে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের একটি সশস্ত্র গ্রুপ সোনালী ব্যাংক পিলসি শাখায় ঢুকে ব্যাংকের ভোল্ট ভেঙে ২ কোটি টাকা লুটে করেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা যায়। তবে এখনও এ তথ্যে সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ সময় তারা ব্যাংকের আইনশৃঙ্খলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের অস্ত্র লুট এবং ব্যাংকের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনকে মসজিদ থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
পূর্বকোণ/পিআর