চট্টগ্রাম বৃহষ্পতিবার, ০৯ মে, ২০২৪

সর্বশেষ:

ফুলকপির ব্যাপক ফলন চন্দনাইশে

মো. দেলোয়ার হোসেন, চন্দনাইশ

১ ডিসেম্বর, ২০২২ | ৯:৩৩ অপরাহ্ণ

শীতের সকালে প্রতিদিন চন্দনাইশের দোহাজারী রেলওয়ে বাজারে সারিবদ্ধভাবে সাজানো সাদা সাদা ফুলকপি রাখার টুকরি নজর কাড়ে স্থানীয়দের।

শীত মৌসুমে এ অঞ্চলটি যেন ফুলকপির রাজ্যে পরিণত হয়। সেখানে আসে চট্টগ্রাম শহর থেকে পাইকারি ক্রেতারা। তারা পছন্দসই ফুলকপি ও বাধাকপি ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন এলাকায়। সেইসঙ্গে নিয়ে যায় কৃষকের ক্ষেত থেকে কাঁধে ভার বয়ে আনা অন্যান্য সবজিও।

কৃষকদের অভিযোগ, পাইকারি সবজি ক্রেতারা সিন্ডিকেট করার কারণে তারা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। চলতি মৌসুমে শঙ্খনদীর তীরবর্তী বৈলতলী, বরমা, চাগাচর, দোহাজারী সদর, রায়জোয়ারা, হাতিয়াখোলা, লালুটিয়া, পার্শ্ববর্তী কালিয়াইশ, কেওচিয়া, চরতি, আমিলাইশসহ বিভিন্ন এলাকায় ফুলকপি ও বাধাকপির বাম্পার ফলন হয়েছে।

এছাড়াও এসব এলাকায় বেগুন, মূলা, গাজরসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজির বেচা-কেনা চলে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে শঙ্খনদীর তীরবর্তী কৃষকেরা শীতকালীন মৌসুমে সবজি উৎপাদন করে ব্যাপক লাভবান হয়। তাছাড়া সারা বছরেই কোন না কোন সবজি চাষ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন এ জনপদের মানুষ।

সেজন্য দোহাজারীকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের সবজি ভা-ার নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এ এলাকার উৎপাদিত সবজি পার্শ্ববর্তী এলাকাসহ চট্টগ্রাম মহানগরের চাহিদা পূরণ করে থাকে। তবে দোহাজারী এলাকায় সবজি সংরক্ষণের জন্য কোন রকম হিমাগার না থাকায় উৎপাদিত সবজি দিনে দিনেই বিক্রয় করতে হয়। এতে ন্যায্যমূল্য পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয় বলে অভিযোগ কৃষকদের।

চন্দনাইশে শুধুমাত্র আলুর জন্য হিমাগার থাকায় সংরক্ষণ করার সুযোগ রয়েছে। অন্য সবজির ক্ষেত্রে এ সুবিধা নেই।

পূর্বকোণ/সাফা

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট