বিশ্বকাপ ইতিহাসের প্রথম আসর অর্থাৎ ১৯৩০-এ চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে। ১৯৩৪ ও ১৯৩৮ বিশ্বকাপে দলটি নামই লেখায়নি। বিশ্বযুদ্ধের কারণে পরের দুটো আসর স্মৃতির পাতায় চলে যাওয়ার পর ১৯৫০ আসরে আবারও উরগুয়ে, এবং এবারও চ্যাম্পিয়ন তারাই। সেই শেষ, তারপর থেকে উরুগুয়ে বিশ্বকাপে অংশগ্রহন করলেও সেরা সাফল্য আরও পাওয়া হয়নি। এবারও বিশ্লেষকরা দলটিকে ফেবারিটের কাতারে রাখছেন না।
তবে অস্কার তাবারেজের জায়গায় কোচিয় লাইনে দাঁড়ানো দিয়েগো আলন্সো ভাবছেন ভিন্ন কিছু। অভিজ্ঞতা কম থাকলেও নতুন প্রজন্মের কোচ হিসেবে ছাপ রাখতে শুরু করেছেন আলন্সো। উরুগুয়ে দলের খোলনচলে যেমন পাল্টে দিয়েছেন, তেমনই সাফল্যেও ফিরিয়েছিলেন। আলন্সোর বিশ্বকাপ দল কেমন হতে পারে, তা নিয়েই যত আলোচনা। বয়স হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও জাতীয় টিমে যাঁরা দিনের পর দিন খেলেছেন, তাঁদের অনেককেই সরিয়ে দিয়েছেন আলন্সো। হয় টিম থেকে বাদ পড়েছেন, নয়তো প্রথম এগারোতে সুযোগ পাননি।
প্রশ্ন হল, লুইস সুয়ারেজ, এডিনসন কাভানিদের কি বিশ্বকাপ দলে দেখা যাবে? যা পরিস্থিতি, তাতে কোচ আলন্সো ভরসা রাখছেন দুই অভিজ্ঞ স্ট্রাইকারের উপরেই। আসন্ন বিশ্বকাপে দক্ষিণ কোরিয়া, পর্তুগাল, ঘানার সঙ্গে গ্রুপ এইচ-এ রয়েছে উরুগুয়ে।
বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগে আলন্সো অবশ্য বলছেন, ‘আমরা অন্য কারও সঙ্গে নিজেদের তুলনা করতে পারব না। আগের দল কি করেছে, এর আগে কি ঘটেছে, কোনও কিছুই মাথায় রাখা যাবে না। সাফল্যের প্রত্যাশা নিয়েই আমরা এগিয়ে যাব। সেটাই আমাদের স্বপ্ন, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’ কাভানি আর সুয়ারেজের বয়স ৩৫। দু’জনের কাছেই এটা চতুর্থ বিশ্বকাপ হবে। আগের তিন বিশ্বকাপে ৭ গোল করেছেন সুয়ারেজ।
অন্য দিকে আবার ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে স্প্যানিশ ক্লাব ভ্যালেন্সিয়াতে যোগ দিয়েছেন কাভানি। কিন্তু নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি। চারটে ম্যাচ খেলে মাত্র ২ গোল করেছেন। কোচ হওয়ার পর আলন্সো দলে যথেষ্ট বদল এনেছেন। সিনিয়র কিপার ফের্নান্দো মুসলেরাকে বসিয়ে সর্গিও রোচেতকে খেলাচ্ছেন। ২৪ বছরের সাইন মাথিয়াস অলিভিয়েরাকে দলে এনেছেন। তার পর থেকে ডিফেন্সও ভালো পারফর্ম করছে। গোল খাওয়ার পরিমাণ কমেছে। বিশ্বকাপ দলে এমনই অনেক তরুণকে দেখা যাবে। তবে ভরসার জায়গা সেই সুয়ারেজ-কাভানিই থাকছেন।
পূর্বকোণ/আর